ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ‘ইউটার্ন’ বিজেপির আসামীয় মিত্রদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ‘ইউটার্ন’ বিজেপির আসামীয় মিত্রদের সম্প্রতি অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আসামের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে ইউটার্ন নিল বিজেপির আসামীয় মিত্র অসম গণ পরিষদ (এজিপি)। আইন পাসের সময় সমর্থন দিলেও এবার তারাই এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জ্যেষ্ঠ নেতাদের জরুরি বৈঠকে বিতর্কিত এই আইন থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। এ বিষয়ে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখাও করবেন এজিপি নেতারা।

মুখ্যমন্ত্রী সর্বনন্দ সনোয়ালের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার অসম গণ পরিষদ। মন্ত্রিসভায় তাদের তিনজন সদস্যও রয়েছে।  

গত সপ্তাহে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাসের সময় এতে সমর্থন দেন এজিপি নেতারা। কিন্তু এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন মিত্ররা। আইন পাসের প্রতিবাদে পদত্যাগও করেন রাজ্যের কয়েকজন বড় বড় নেতা।  
 
গত শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা জগদীশ ভূঁইয়া। তিনি আসাম পেট্রোকেমিক্যালসেরও চেয়ারম্যান।

পদত্যাগ করেছেন ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আসামীয় চলচ্চিত্রের সুপারস্টার জতিন বোরা। তিনি রাজ্যের চলচ্চিত্র অর্থ উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান।

রাজ্যের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা রবি শর্মাও নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের প্রতিবাদ জানিয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।

গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজ্যসভায় অনুমোদন পায় বহুল আলোচিত-সমালোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে আইনে পরিণত হয় সেটি।

সংশোধিত আইন অনুসারে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া অমুসলিমদের (হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিখ, জৈন, পারসি) নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বিতর্কিত এই আইন পাসের সঙ্গে সঙ্গেই ফুঁসে ওঠেন ভারতের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষোভ ধর্মঘটে কার্যত অচল রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। একই ইস্যুতে ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। এছাড়া ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে বৈষম্যমূলক বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।