রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিবিসির রেডিও টুডে-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে এ কথা বলে গ্রেটা থানবার্গ।
খবরে বলা হয়, গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেয় গ্রেটা। সে সময় ক্ষুব্ধ হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দিকে এমন ভয়ঙ্কর ভাবে সে তাকায় যে, বিভিন্ন মিডিয়ায় সেটিকে ‘মৃত্যুবাণ’ বলে অভিহিত করা হয়। ওই মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে অনলাইন দুনিয়ায়।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তনের ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণে আস্থা রাখেন না বলে বারবার জানিয়ে আসহেন ট্রাম্প। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে প্যারিসে হওয়া বৈশ্বিক উষ্ণতা সংক্রান্ত চুক্তি থেকেও বেরিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মুখে ট্রাম্প। গ্রেটা থানবার্গসহ বিশ্বব্যাপী জলবায়ুকর্মী ও পরিবেশবাদীরাও এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ।
সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের ওই জলবায়ু সম্মেলনে ট্রাম্পের দিকে ক্ষোভের সঙ্গে তাকালেও, তার সঙ্গে কোনো প্রকার আলাপ-আলোচনা বা কথাবার্তায় যায়নি গ্রেটা। কিন্তু কথা হলে, কী নিয়ে কথা হতো, বিবিসির সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে গ্রেটা জানায়, ‘সত্যি বলতে, আমার মনে হয় না যে আমি তাকে কিছু বলতাম। কারণ, সে তো বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের কথাই শোনে না। আমাকে শুনতে যাবে কোন দুঃখে?’
‘ফলে, আমার মনে হয় কথাবার্তা হলেও আমি সে রকম কিছুই বলতাম না তাকে। তার সঙ্গে কথা বলে আমি আমার সময় নষ্ট করতাম না। ’
এর আগে বিভিন্ন সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রেটার সমালোচনা করেছেন। গ্রেটাকে অসহিষ্ণু উল্লেখ করে টুইটারে তিনি এও লেখেন- ওর উচিত কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার ওপর কাজ করা।
শুধু ট্রাম্প নয়, বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা গ্রেটাকে গালমন্দ করেছে। গত ডিসেম্বরেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারো তাকে হেয় করে ‘ছুঁড়ি’ বলে সম্বোধন করে।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে এ গ্রেটা বলে, ওইসব আক্রমণ আসলে হাস্যকর, কারণ ওগুলো কোনো অর্থ বহন করে না। কিছু অর্থ অবশ্য বহন করে, আর তা হলো- তারা আতঙ্কিত যে তরুণরা এমন সব বদল আনছে, যা তারা চায় না। ফলে তারা আমাদের এক ধরনের হুমকি মনে করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এইচজে