এর আগে তিনি তার পূর্বসূরী তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক বিক্ষোভের সমালোচনা করেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ভারতের সেনাপ্রধান পদে যোগদানের পর বুধবার (০১ জানুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে তিনি একথা বলেন।
ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, ‘সেনাবাহিনী সবসময়েই অরজানৈতিক থেকেছে, এবং থাকবেও। যখন আমরা সেনাবাহিনীতে যোগ দেই, আমরা সবার ঊর্ধ্বে সংবিধানকে রাখার শপথ গ্রহণ করি’।
তিনি আরও বলেন, আমি সুনিশ্চিত করবো যাতে, পাক সীমান্তে থাকা জঙ্গিঘাঁটি থেকে কোনো রকম আক্রমণ বা হুমকি এলে তার মোকাবিলা করতে পারে বাহিনী। হুমকি মোকাবিলার জন্য বাহিনী ‘কার্যকরভাবে প্রস্তুত’ থাকতে পারে।
নতুন সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা জানি, সীমান্তের ওপারে জঙ্গিঘাঁটি রয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ হয় সেখানেই। আমরা তাদের ওপর নজর রাখছি এবং প্রত্যুত্তর দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমার অগ্রাধিকার থাকবে আগের সমস্ত সেনাপ্রধানের মতোই, যাতে স্থলবাহিনী কার্যকরভাবে প্রস্তুত থাকে।
বাহিনীর প্রধান পদে আসার কয়েকঘণ্টা পরেই সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে নতুন এই সেনাপ্রধান বলেন, পাকিস্তানের মদতে বা তাদের কোনো রকম জঙ্গি কার্যকলাপের নিরিখে জবাব দেওয়ার অনেকগুলো পথ রয়েছে ভারতের।
এমএম নারবানের আগে সেনাপ্রধান পদে ছিলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত, বর্তমানে প্রতিরক্ষাবাহিনীর প্রধান পদে রয়েছেন তিনি, ভারতের তিন বাহিনীর একমাত্র যোগাযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে এই পদ।
নতুন সেনাপ্রধান বলেন, পাঁচ মাস আগে কেন্দ্র বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর থেকে কাশ্মীর পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
তিনি দাবি করে বলেন, ‘আপনি যদি ৫ আগস্টের আগের পরিস্থিতি দেখেন, এবং আমরা যদি ৫ আগস্টের পরের পরিস্থিতি দেখি, তাহলে বোঝা যাবে সেখানকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ফলে এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এমএইচ/আরএ