ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এখন শান্তির পক্ষে পাকিস্তান!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২০
এখন শান্তির পক্ষে পাকিস্তান! পাকিস্তানের আইএসপিআর ডিজি আসিফ গাফুর। ছবি: সংগৃহীত

এককালে যুদ্ধবাজ দেশ হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান খুব একটা সুখে নেই। অর্থনৈতিক দুর্দশা, রাজনৈতিক টানাপোড়েন তো আছেই, সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার কালো দাগও পড়েছে তাদের ওপর। তবে বিশ্বের অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে এ সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে বরাবরই উচ্চকণ্ঠ দেখা গেছে পাকিস্তানকে। কিছুদিন আগেও ভারতের কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ব্যাপক দৌড়-ঝাঁপ করেছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান; যদিও কথা বলেননি চীনে উইঘুর নির্যাতনের বিষয়ে। এবার ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ইস্যুতেও একই পথ ধরেছে তার দেশ। এখানে নিজেদের অবস্থান কেবলমাত্র ‘শান্তির পক্ষে’ বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।

দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক আসিফ গাফুরের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের বক্তব্য উল্লেখ করে এ মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তান এ বিষয়ে কারও বা কোনো বিষয়ে সঙ্গী নয়, একমাত্র শান্তির অংশীদার হবে।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।

এর দু’দিন আগেই অর্থাৎ ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি কাসেম সোলেমানিকে হত্যার পরদিন শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) পাকিস্তানি সেনাপ্রাধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার কাছে ফোন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।  

সেই কথপোকথন বিষয়ে আসিফ গাফুর বলেন, ‘তিনি (পম্পেও) জানিয়েছেন, আঞ্চলিক অবস্থা দিন দিন অস্থির হয়ে উঠছে। সেনাপ্রধান বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি সশস্ত্র সংঘর্ষ এড়িয়ে যাওয়া উচিত। তিনি এ উত্তেজনা প্রশমিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। ’  

পাকিস্তানের আইএসপিআর ডিজি বলেন, ইরানি সেনা কমান্ডার হত্যায় আঞ্চলিক পরিস্থিতি বদলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে প্রতিনিয়ত ভূমিকা রাখছে পাকিস্তান।  

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান হলো জাতিসংঘ সনদের মূলনীতি, যা মেনে চলা উচিত। একতরফা কর্মকাণ্ড ও শক্তিপ্রয়োগ এড়িয়ে চলাও জরুরি।

তিনি বলেন, সব পক্ষকে জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সর্বাধিক সংযম প্রয়োগ করে কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।

এদিকে, সোলেমানি হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি আলাদাভাবে সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট সাম্প্রতিক উত্তেজনার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।