ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

১৫ লাখ নাগরিককে হোম কোয়ারেন্টিনে নেবে যুক্তরাজ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
১৫ লাখ নাগরিককে হোম কোয়ারেন্টিনে নেবে যুক্তরাজ্য

ঢাকা: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন এমন প্রায় ১৫ লাখ নাগরিককে হোম কোয়ারেন্টিনে বা শিল্ড- এ নেবে যুক্তরাজ্য । অন্তত আগামী ১২ সপ্তাহ তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সরকার। 

এর জন্য প্রয়োজনে আসছে মে মাসের ‘মা দিবস’- এ মায়েদের সঙ্গে সাক্ষাত না করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন।  

রোববার (২২ মার্চ) করোনা পরিস্থিতির সবশেষ অবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন কমিউনিটি সেক্রেটারি রবার্ট জেনরিক এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জেনি হ্যারিস।  

প্রথমেই বোরিস জনসন করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে জানান, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬৫ জন এবং নিহত হয়েছেন ৪৮ জন। এর ফলে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছোল পাঁচ হাজার ৬৮৩ এ।  একই সঙ্গে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৮১-তে।  

এসময় বোরিস জানান, দেশটিতে অন্তত দেড় মিলিয়ন বা ১৫ লাখ নাগরিকদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিনে নেবে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এনএইচএস।  

তিনি বলেন, এনএইচএস দেড় মিলিয়ন নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তাদেরকে চিঠি বা মেসেজ দেওয়া হবে।  এই নাগরিকদের নিজ নিজ বাসায় থাকতে হবে। অন্তত আরও আগামী ১২ সপ্তাহ।  আমরা এই নজিরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছি কিন্তু আমাদের এটি করতে হচ্ছে ভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার কমিয়ে আনার জন্য এবং হাজার হাজার জীবন বাঁচানোর জন্য।  আমাদের দেশ এমন অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।  

‘এটা মোটেও ভাববেন না যে, মুক্ত বাতাস আপনাকে সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেবে’- বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।  

মানুষদের জীবন বাঁচাতে এনএইচএস’কে সহায়তার জন্য সবাইকে আহবান জানান রবার্ট জেনরিক।  তিনি বলেন, আমরা প্রায় দেড় মিলিয়ন সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের এই পদক্ষেপের আওতায় আনছি।  এদের মধ্যে এমন নাগরিকও আছেন, যারা নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং সাম্প্রতিক সময়ে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেছেন।  

তবে এই সময়ে এই নাগরিকেরা ‘একা নন’ বলেও মন্তব্য করেন রবার্ট জেনরিক। রবার্ট বলেন, আপনি যদি এই নাগরিকদের মাঝে থাকেন তাহলে নিশ্চিত থাকুন যে, আপনি একা নন।  খুবই অনিশ্চিত সময় যাবে, তবে আমরা এটা নিশ্চিত করছি যে, আপনারা কেউ একা নন।  অন্তত ১২ সপ্তাহ তাদেরকে এভাবে থাকতে হবে।  এই সময়ে তাদের একটি ফোন নম্বর দেওয়া হবে।  সেখানে যেকোন জিনিসের প্রয়োজন হলে নাগরিকরা জানাতে পারেন।  এর মাঝে ভিন্ন কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা সম্ভাব্য সকল দিক খতিয়ে দেখছি।  

তবে যুক্তরাজ্যকে লকডাউন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন বলেন, এই সিদ্ধান্তটি বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ করে নিতে হবে।  আমরা এটুকু জানি ‘সঠিক সময়েই’ সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এসএইচএস/ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।