ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নিউইয়র্কের জরুরি বিভাগের শীর্ষ চিকিৎসকের আত্মহত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
নিউইয়র্কের জরুরি বিভাগের শীর্ষ চিকিৎসকের আত্মহত্যা চিকিৎসক লর্না এম. ব্রিন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ইউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ম্যানহাটনের একটি হাসপাতালে ইমার্জেন্সি রুমে কর্মরত চিকিৎসক লর্না এম. ব্রিন আত্মহত্যা করেছেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নিউইয়র্ক প্রেসবিটেরিয়ান অ্যালেন হসপিটালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা পরিচালক ছিলেন লর্না।

৪৯ বছর বয়সী এ চিকিৎসক ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলে নিজের পরিবারের সঙ্গে ছিলেন। সেখানেই তিনি মারা যান।

শার্লটসভিল পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র টাইলার হন জানান, রোববার (২৬ এপ্রিল) চিকিৎসা সাহায্য চেয়ে একটি কল আসে। আত্মহত্যার চেষ্টা করে আহত চিকিৎসক লর্নাকে ইউভিএ হসপিটালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।

বাবা ডা. ফিলিপ সি. ব্রিন জানান, তাকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের বিপর্যস্ত দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছিলেন লর্না।

ডা. ফিলিপ বলেন, ‘সে তার কাজ করার চেষ্টা করছিল এবং সেটিই তাকে মেরে ফেললো। ’

লর্না নিজেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানান তার বাবা ফিলিপ। কিন্তু দেড় সপ্তাহ আগে সুস্থ হয়ে তিনি কাজে ফিরে গিয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে তাকে আবারও বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর তার পরিবার তাকে শার্লটসভিলে নিয়ে যায়।

লর্নার কোনো মানসিক সমস্যা ছিল না বলেও জানান ফিলিপ। তবে শেষবার যখন মেয়ের সঙ্গে তার কথা হলো, তখন তাকে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন মনে হচ্ছিল। লর্না তার বাবার কাছে সেসব রোগীর কথা বলছিলেন, যারা অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানোর আগেই মারা গেছেন।

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে লর্না একজন ‘হিরো’ ছিলেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নিউইয়র্ক প্রেসবিটেরিয়ান অ্যালেন হসপিটালও এক বিবৃতিতে লর্নার প্রশংসা করে তাকে ‘হিরো’ হিসেবে অভিহিত করে।

জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা মোট ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫১। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৬ হাজার ২৪৫ জন। মৃতদের মধ্যে ১৭ হাজার ৫১৫ জন নিউইয়র্কের।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।