ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

করোনা ভাইরাসের ভেষজ ওষুধ তৈরির দাবি করলো মাদাগাস্কার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
করোনা ভাইরাসের ভেষজ ওষুধ তৈরির দাবি করলো মাদাগাস্কার সংবাদ সম্মেলনে মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রেজোলিনা বোতল থেকে বাদামি রঙের তরল ওষুধটি পান করেন। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন চিকিৎসা গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। এরইমধ্যে পূর্ব আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কার দাবি করেছে, দেশটির তৈরি ভেষজ ওষুধে সুস্থ হচ্ছেন কোভিড-১৯ রোগীরা। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ওষুধটির কার্যকারিতা প্রমাণিত নয়।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, সম্প্রতি করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হতে ‘কোভিড-অর্গানিক্স’ নামে এ ‘হারবাল টনিক’ বাজারজাত করার ঘোষণা দেয় মাদাগাস্কার। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ এ ওষুধ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ইতোমধ্যে তানজানিয়ায় ওষুধটি সরবরাহ করেছে মাদাগাস্কার। তানজানিয়া সরকারের মুখপাত্র হাসান আবাস এক টুইটে বলেন, ‘মাদাগাস্কারের কাছ থেকে করোনা ভাইরাসের ওষুধ পেলো তানজানিয়া। ’

‘আর্টেমিশিয়া’ নামে এক ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ এবং দেশীয় ওষুধি গুল্ম থেকে ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে। ‘হারবাল চা’ হিসেবে এটি বাজারজাত করেছে মাদাগাস্কার। আর্টেমিশিয়া ম্যালেরিয়া চিকিৎসায়ও কার্যকর।

গত মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ওষুধটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রেজোলিনা। তিনি বোতল থেকে বাদামি রঙের তরল ওষুধটি পান করে দাবি করেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দুই ব্যক্তি এ ওষুধে সুস্থ হয়েছেন। সাতদিনে এ ‘হারবাল চা’ এর কার্যকারিতা বোঝা যায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মালাগাসি ফলিত গবেষণা সংস্থা ওষুধি পানীয়টি তৈরি করেছে। পূর্ব আফ্রিকান দ্বীপরাষ্ট্রটি জানায়, প্রতি বোতল ৪০ মার্কিন সেন্ট দরে ওষুধটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

তানজানিয়া ছাড়াও গিনি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লাইবেরিয়া এবং গিনি বিসাউকে বিনামূল্যে ওষুধটি সরবরাহ করেছে মাদাগাস্কার।

ওষুধটির ১৬ হাজার ডোজ পেয়েছে গিনি বিসাউ, যা তারা আরও ১৪টি আফ্রিকান দেশে বিতরণ করছে। বিতরণের আগে ওষুধটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন লাইবেরিয়ার তথ্য উপমন্ত্রী ইউজিন ফারগন।

এদিকে অ্যার্টেমিশিয়ার উপাদান ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় কার্যকর এটি স্বীকার করলেও কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়নি এমন ওষুধ না খেতে সতর্ক করে ডব্লিউএইচও।

আফ্রিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রও বলেছে, ‘ওষুধটি কঠোরভাবে পরীক্ষা করা উচিত। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।