মস্কো: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ আজ বুধবার প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিকেন্দ্র সিলিকন ভ্যালি পরিদর্শনে গেছেন। পুরানো ধাঁচের ও তেল-নির্ভর অর্থনীতির রাশিয়ায় জন্য এখান থেকে মেধা ও অর্থ আকর্ষণ করাই তাঁর মূল লক্ষ্য।
দুই বছর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেও মেদভেদেভ তাঁর পূর্বসূরি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভøাদিমির পুতিনের ছায়ায়ই ঢাকা পড়ে আছেন। নিজের একটি দৃঢ় ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ার জন্য মরিয়া মেদভেদেভ এখন রাশিয়ার জন্য নিজস্ব একটি সিলিকন ভ্যালি গড়তে চান। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটি এখন হয়ে উঠেছে তাঁর ধ্যানজ্ঞান।
গতকাল মঙ্গলবার সান ফ্রান্সিসকোর সিলিকন ভ্যালিতে পৌঁছার পর ক্যালিফোর্নিয়ার ফার্স্ট লেডি মারিয়া শ্রিভার ও সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ শুলজ তাকে অভ্যর্থনা জানান। আজ বুধবার রাতে শহরের ফেয়ারমন্ট হোটেলে গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের উপস্থিতিতে মেদভেদেভকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
গত সপ্তাহে সেন্ট পিটার্সবুর্গে একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক ফোরামে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ওপরই নির্ভর করছে আমাদের দেশের ভবিষৎ। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হয়ে ওঠার ব্যাপারটাও। ’
তবে মেদভেদেভ জানেন, সাফল্য পেতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সেরা কিছু মেধা এবং বিনিয়োগ দুটোকেই আকৃষ্ট করতে হবে। যদিও এটা করা যাবে কিনা এ নিয়ে দেশের অনেক ব্যবসায়ী এখনো সংশয়ী।
সিলিকন ভ্যালিতে তিনি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারের প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বক্তৃতা দেবেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর ওয়াশিংটনে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। এরপর মেদভেদেভ ও ওবামা দুজনে মিলে জি-৮ এবং জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে টরন্টোর উদ্দেশে রওনা হবেন।
মাইক্রোচিপ উৎপাদনকারী ও নিরাপদ সিস্টেম ডিজাইনার প্রতিষ্ঠান এলভিস-এর পরিচালক ইয়ারোস্লাভ পেত্রিচকোভ্স্কি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সবকিছুই তারা নিমার্ণ করবেন, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। কিন্তু এখানে নতুন কোনো উদ্ভাবন বা চিন্তা যোগ করা যাবে কিনা এ নিয়ে আমি সংশয়ী। কেননা, সরকার প্রকল্পটার বিস্তারিত দিকগুলো আড়ালে রেখেছে। অন্যান্য বিষয়ের মতোই এ ব্যাপারে তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ঘণ্টা, জুন ২৩ , ২০১০
এনজে/আরআর/জেএম