যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর অবশেষে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেছেন জো বাইডেন। তবে তার কাছে হোয়াইট হাউস নতুন কিছু নয়।
এবার যখন তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে ঢুকলেন তাকে স্বাগত জানাতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেখানে ছিলেন না। ইতোমধ্যেই তিনি ফ্লোরিডাতে চলে গেছেন।
বাইডেনকে স্বাগত জানিয়েছেন সামরিক সদস্যরা। এসময় তার পাশে ছিলেন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
আমেরিকা থেকে বিবিসির একজন উপস্থাপক লরা ট্র্যাভেলিয়ন বলছেন, হোয়াইট হাউসে জো বাইডেনের প্রবেশ একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত। কারণ, দুসপ্তাহ আগে ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার পর আজকের দিনটিতে কী হয় তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছে।
এর আগে জো বাইডেন দাফতরিক কাজ শুরু করেন। দেশটির পার্লামেন্ট ক্যাপিটলে তিনটি নথিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। এর মধ্যে অভিষেক দিবস ঘোষণা সংক্রান্ত নথিতে প্রথম স্বাক্ষর করেন। বাকি দুটি নথি মন্ত্রিসভার সদস্যদের মনোনয়ন বিষয়ে।
বুধবার শপথ নেওয়ার আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, তিনি এরকম ১৫টি আদেশে সই করবেন।
এর মধ্যে রয়েছে- ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন সেটা বাতিল করবেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালা। মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহে ট্রাম্পের দেওয়া জরুরি ঘোষণা প্রত্যাহার করবেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিজীবীদের জন্য এবং ফেডারেল ভবন ও হোয়াইট হাউজে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নতুন অফিসে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেবেন। কিছু দেশ, বিশেষ করে মুসলিম দেশ থেকে ভ্রমণের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তার অবসান ঘটাবেন। কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইন বিষয়ে দেওয়া প্রেসিডেন্টের অনুমোদন প্রত্যাহার করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
আরএ