ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

চীনের বিরোধিতার মুখেও তাইওয়ানের পক্ষে ডেনমার্ক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
চীনের বিরোধিতার মুখেও তাইওয়ানের পক্ষে ডেনমার্ক!

চীনের বিরোধিতা সত্ত্বেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (হু) তাইওয়ানের ফিরে আসার প্রস্তাবকে সমর্থন করার জন্য একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে ডেনমার্কের সংসদ।

একটি ফেসবুক পোস্টে ডেনমার্কের তাইওয়ানের অফিস বলেছে, ডেনমার্কের সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দশটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ছয়টি তাইওয়ানকে বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদে (ডব্লিউএইচএ) আমন্ত্রণ জানাতে সমর্থন করছে।

হু-এর সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা, কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থার (সিএনএ) উদ্ধৃতি দিয়ে এ সংবাদ দিয়েছে তাইপে টাইমস।

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডেনমার্কের ব্লু-ব্লক জোট এবং ড্যানিশ সোশ্যাল লিবারেল পার্টি যৌথভাবে এই প্রস্তাব পাস করেছে এবং বর্তমানে সংসদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি পর্যালোচনা করছে।

ডেনমার্কের সংবাদপত্র জিল্যান্ডস-পোস্টেনের মতে, তাইওয়ানের সিওভিড-১৯ মহামারি সফলভাবে নিয়ন্ত্রণের পর দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে, সিএনএকে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রকাশ করেছে তাইপে টাইমস।

তবে 'এক চীন নীতির' কারণে, ড্যানিশ সরকার এ বিষয়ে তাদের পূর্ণ সমর্থন প্রদান করেনি। আপাতদৃষ্টিতে বোঝা যাচ্ছে, এ বিষয়ে চীনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে চায় না ডেনমার্ক।  

ডেনমার্কের সংবাদপত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেপে কোফোডকে উদ্ধৃত করে বলেছে, তার সরকার ডব্লিউএইচএ-তে তাইওয়ানের জন্য পর্যবেক্ষকের মর্যাদাকে সমর্থন করে। কিন্তু তাইওয়ানকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের (পিআরসি) অংশ হিসেবে দেখে।

ডেনমার্কের একটি বেসরকারি সংস্থা তাইওয়ান কর্নারের চেয়ারম্যান মাইকেল ড্যানিয়েলসেন বলেছেন, এই বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন তাইওয়ানের পক্ষে বেশ ইতিবাচক হয়েছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে তাদের উপকৃত করবে।  

ড্যানিয়েলসেন আরও বলেন, ডেনমার্কের কর্মকর্তাদের উচিত তাইওয়ানের সাথে আরো বাস্তবসম্মত দ্বিপাক্ষিক বিনিময়ের বিষয়ে জোর দেওয়া।  

১৯৭২ সালে বহিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদের কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেনি চীন। ২০০৯ ও ২০১৬ সালে চীন শুধু পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিতে পেরেছিল।  

ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির প্রেসিডেন্ট তাসাই ইং-ওয়েন ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীন তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ না জানানোর জন্য হু-কে চাপ দিচ্ছে।

বেইজিং দাবি করে, তাইওয়ান চীনের অংশ। যদিও চীনের বিরোধিতার মুখে গত সাত দশক ধরে পৃথক সরকার ব্যবস্থায় পরিচালিত হচ্ছে তাইয়ান। যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে চীনা আগ্রাসনের মোকাবেলা করে যাচ্ছে তাইওয়ান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।