কম্বোডিয়ার মেকং নদীতে পানির স্তর কম থাকায় ওই নদীর তীরবর্তী জনসাধারণ জীবিকা হারাচ্ছে। এ অবস্থায় জলপথ ভাগাভাগি করে পানি ব্যবহারের একটি সাধারণ সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশটির কৃষকরা সম্প্রতি আরএফএর খেমার সার্ভিসকে বলেছেন, শুষ্ক মৌসুমে তারা আর ধান উৎপাদন করতে পারবেন না। এদিকে জেলেরা বলছেন, পানির অভাবে তাদের দৈনন্দিন মাছ ধরার পরিমান কমে গেছে। মাছ চাষীরাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
কান্দাল প্রদেশের কিয়েন সেভয় জেলার কাম্পং প্রেক ডং গ্রামের বাসিন্দারা জীবিকা উপার্জনের জন্য বাসাক হ্রদের ওপর নির্ভর করে- যা মেকং নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু পানির স্তর কমে যাওয়ায় তারা বিপদে পড়েছেন। কৃষকরা জানান, তারা শুষ্ক মৌসুমের ধান চাষ ছেড়ে দিয়েছেন এবং এমনকি তাদের অন্যান্য ফসলও পানির অভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
একজন কৃষক বলেন, আমি চাষ করতে পারছি না। বৃষ্টি নেই, পানি নেই, অতিরিক্ত খরা। আয় কমে গেছে। এখন আমাকে মাছ এবং ধান কিনতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কৃষক বলেন, নদী থেকে খুব কম মাছ পাওয়া যায় এবং এমনকি কম্বোডিয়ার মাছের পেস্টও পাওয়া যায় না। ফলে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা মাছ কিনতে বাধ্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার ভাই কলা চাষ করেন। কাছের একটি হ্রদ থেকে সেখানে পাম্প করে পানি আনতে হয়।
তবে এসব বিষয় নিয়ে সরকারের লোকজনের কোনো সাড়া শব্দ নেই।
যৌথ সমাধানের আহ্বান
নদী সম্পদ এবং পরিবেশ বিষয়ক একজন স্বাধীন উপদেষ্টা হেম ওডোম আরএফএকে বলেছেন, মেকং নদী কমিশন (এমআরসি) মেকং-এর প্রবাহের প্রধান পরিবর্তন পর্যালোচনা করবে নদীর স্তরের সমস্যা সমাধানের জন্য।
জানা গেছে, মেকং নদীর উজানে ১০টিরও বেশি বাঁধ দিয়ে রেখেছে চীন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাঁধগুলোই নদীর প্রবাহকে প্রভাবিত করে। এ বিষয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিম চীনে মেকং-এর বাঁধ, যা ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়ায় প্রবাহিত নদীগুলোর ওপর বিশেষভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক