চীনা শিল্পপতি জোং শ্যানশেন গত এক সপ্তাহে দুই হাজার দুইশ’ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ খুইয়েছেন। আর সে কারণে ফের এশিয়ার শীর্ষ ধনীর জায়গা দখল করেছেন ভারতের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি।
তালিকার দুই নম্বরে নেমে আসা শ্যানশেনের সম্পত্তির বর্তমান আনুমানিক মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার।
ব্লুমবার্গ বিলিওনিয়ার ইনডেক্সে বলা হয়েছে, চীনা শিল্পপতি পানির বোতলের একাধিক কারখানার মালিক। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই তিনি শীর্ষ ধনীর অবস্থান ধরে রেখেছিলেন। তবে চলতি সপ্তাহে তাকে পেছনে ফেলে ওপরে উঠে এসেছেন আম্বানি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আম্বানিকে পেছনে ফেলে ওপরে উঠে এসেছিলেন শ্যানশেন। ফলে বিশ্বে তিনি ষষ্ঠ ধনী হিসাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
২০২০ সালের মাঝামাঝি জানা যায়, মুকেশ আম্বানির নিট সম্পদ ২৮ শতাংশ কমে গেছে। শেয়ারবাজারে সংশোধন হওয়ায় ৩১ মার্চ নিট সম্পদ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টরের মোট সম্পদ ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার কমেছে। ফলে বিশ্বের ধনী তালিকায় তার স্থান অষ্টম থেকে ১৭তম স্থানে নেমে এসেছে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির বদল হয়। লকডাউনের সময় দেখা যায় মুকেশ আম্বানির ব্যক্তিগত আয় হয়েছে প্রতি ঘণ্টায় ৯০ কোটি রুপি।
জ্বালানি খাত থেকে সরে এসে মুকেশ আম্বানি তার বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য সম্প্রতি প্রযুক্তি ও ই-কমার্সের দিকে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছেন। গত বছর তিনি রিলায়েন্স ডিজিটাল এবং রিটেইল ইউনিটের দুই হাজার সাতশ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার গুগল ও ফেসবুকসহ কয়েকটি বড় কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করেন।
নয় বছর ধরে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির স্থান দখল করে আছেন মুকেশ আম্বানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক