কাশ্মীর নিয়ে ভারতের আনন্দ আর পাকিস্তানের হতাশা থাকলেও সৌদি আর নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে। এমনকি যখন ইসলামাবাদ উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক সংশোধনের জন্য সব রকম চেষ্টা করছে এবং তার অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখনও সৌদি আরব তার ভূমিকা বজায় রেখেছে।
ভারতভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক উসানাস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অভিনব পান্ডিয়া বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে তার সরকারের সুসম্পর্ক চলছে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর রিয়াদ সফরের পর সৌদি আরব কাশ্মীর নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে আছে সৌদি। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতকে তারা সমর্থন করেছে।
বিভিন্ন বৈশ্বিক কূটনৈতিক ফোরামে কাশ্মীর নিয়ে সৌদির দ্ব্যর্থহীন অবস্থান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরব কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানকে সমর্থন দিয়ে আসছিল।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজনৈতিক মর্যাদা বাতিল নিয়ে আলোচনা করার জন্য ওআইসির বৈঠক ডাকার দাবি জানায় পাকিস্তান। কিন্তু সৌদি আরব তাতে রাজি না হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে বিভেদ শুরু হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি সৌদিদের ‘নেতৃত্ব’ প্রদর্শণের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে হুমকি দেন যে সৌদি আরব যদি কাশ্মীর ইস্যুতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক না ডাকে, তাহলে পাকিস্তান সমর্থন আদায়ের জন্য ইরান, মালয়েশিয়া এবং তুরস্কে যেতে বাধ্য হবে।
গত বছরের ২৭ অক্টোবর রিয়াদে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাস এবং জেদ্দায় অবস্থিত কনস্যুলেট কাশ্মীরের কালো দিবস কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি চাইলে তা প্রত্যাখ্যান করে রিয়াদ।
গ্লাসগোভিত্তিক লেখক এবং স্বাধীন মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক হামিদ বাহরামি দ্য ইপোচ টাইমসকে একটি চ্যাট প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন এবং অসমতাবাদী ব্লক আবির্ভূত হচ্ছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের প্রতি কিছুটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে সৌদি আরব, যা কাশ্মীর নিয়ে সৌদি অবস্থানকে প্রভাবিত করেছে।
বাহরামি বলেন, যেহেতু পাকিস্তান ইয়েমেনের যুদ্ধের ব্যাপারে সৌদিকে হতাশ করেছে এবং সৌদি ও ইরানের মধ্যে নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নিশ্চিত হয়েছেন যে বর্তমান পাকিস্তানি দৃষ্টিভঙ্গি তার পক্ষে নয়। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক