বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই বোমা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে তাজমহলে। আর পাঁচটা দিনের মতোই এদিন সকাল থেকে ভিড় করেছিলেন পর্যটকরা।
কিন্তু অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি ফোন করে পুলিশকে জানান, তাজমহলে বোমা রাখা রয়েছে। খবর পাওয়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। দ্রুত খালি করে দেওয়া হয় তাজমহল। বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত দরজা। এলাকা খালি করার কাজ করতে শুরু করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তাজমহলে পৌঁছে যান বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা। তারপর গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু হয়। সিআইএসএফ ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন স্থানে সন্ধান চালান।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে মনে করা হয়েছিল, আলিগড় থেকে ফোন আসছে, পরে ফিরোজাবাদ থেকেও ফোন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশকর্মীরা।
দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর গত বছর সেপ্টেম্বরে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় তাজমহল। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল তাজমহলের দরজা। তবে বিধিনিষেধ মেনেই এখনও তাজমহল দর্শন করতে হচ্ছে পর্যটকদের।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন মাত্র পাঁচ হাজার পর্যটককে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। দুপুর ২টার আগে যেতে পারেন আড়াই হাজার এবং ২টার পর থেকে বাকি সময় আরও আড়াই হাজার পর্যটককে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র এই আগ্রার তাজমহল। প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ পর্যটক ঘুরতে যান সেখানে। আগ্রা ফোর্টে বছরে প্রায় ৩০ লাখ পর্যটক যান। এ দুটি পর্যটন কেন্দ্র থেকে বিপুল আয় হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারের।
সূত্র: আনন্দবাজার
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২১
এমজেএফ