পাকিস্তান যখন গিলগিত-বালতিস্তান দখল করে তার প্রদেশ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে, তখন নির্বাসিত কাশ্মীরি নেতা সর্দার শওকত আলী কাশ্মীরি বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের ‘প্রাক্তন রাজকীয় রাষ্ট্র’ নিয়ে ইসলামাবাদের কোনো অবস্থান নেই।
বুধবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গিলগিত-বালতিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের একটি ঐতিহাসিক এবং আইনগত অংশ।
তিনি আরও বলেন, এমনকি পাকিস্তানের সংবিধানও পরিষ্কারভাবে বলে যে গিলগিত-বালতিস্তান একটি বিতর্কিত অঞ্চল এবং জম্মু-কাশ্মীরের অংশ।
কাশ্মীরিরা বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে পাকিস্তান গিলগিত-বালতিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে তার উপনিবেশ হিসেবে বিবেচনা করছে; গিলগিত-বালতিস্তান এবং আজাদ কাশ্মীরের সমাবেশকে ক্ষমতাহীন বলে বিবেচনা করে এবং বিশ্বাস করে যে তারা পাকিস্তান, তার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোপন সংস্থার দয়ায় আছে।
তিনি আরো বলেন, জাতীয়তাবাদীদের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়। পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্যের শপথ জমা দিলে তবেই মনোনয়ন পাওয়া যায়। ইসলামাবাদ সবসময় আমাদের এলাকায় পরাধীন এবং পুতুল সরকার আরোপ করে তার এজেন্ডা এবং নীতি বাস্তবায়নের জন্য।
মূলধারার প্রচার মাধ্যমে পাকিস্তানি কর্মকর্তা এবং প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা প্রায়ই উল্লেখ করেন, চীন সিপিইসিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং এখন তারা তার বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে চায় এবং গিলগিত-বালতিস্তানকে পাকিস্তানে একত্রিত করার জন্য ইসলামাবাদকে চাপ দিচ্ছে।
কাশ্মীরের একজন নাগরিক বলেন, গিলগিত-বালতিস্তান দখল এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং বিপজ্জনক। এটি শুধু জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের জন্য নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় জন্য ধ্বংসাত্মক হবে। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২১
নিউজ ডেস্ক