মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় ঘন অন্ধকার। তার ভেতর দিয়ে রাতভর চলছিলো পুলিশের গুলি।
শুক্রবার (১২ মার্চ) দিনগত রাতেও পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ মার্চ) দেশটির মিডিয়ার রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
লাশের পর লাশ পড়লেও অভ্যুত্থানের বিপক্ষে নেতাকর্মীরা আরো গতি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারা ১৯৮৮ সালের বিক্ষোভে সরকারের হাতে নিহত একজন ছাত্রের মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে আন্দোলন বেগবান করেছে। বিক্ষোভকারী ও গণ অসহযোগ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যখন দমনপীড়ন তীব্র থেকে তীব্র করেছে তখন মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একত্রে কাজ করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান।
স্থানীয় মিডিয়াগুলোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের থারকেতায় রাতভর গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এতে সেখানে কমপক্ষে দুইজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ স্টেশনের সামনে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন।
অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে এবং ১৯৮৮ সালে নিহত ছাত্রনেতা ফোন মাওয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে। ওই শিক্ষার্থী রেঙ্গুন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২১
এএটি