করোনার কারণে অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে পড়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) সমস্যার মুখে পড়েছে।
বিআরআইয়ের অধীনে নতুন ঋণ এবং বিনিয়োগ কমাতে বাধ্য হয়েছে চীন।
গ্রিন বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ সেন্টার পর্যবেক্ষণ করে একটি গবেষণা সংস্থা বলছে, ২০২০ সালে চীনা বিনিয়োগ ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগের মহাপরিচালক ওয়াং জিয়াওলং বলেছেন, বিআরআই প্রকল্পের ২০ শতাংশ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্যান্য ৩০-৪০ শতাংশ বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
মহামারির সময় চীনের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে পড়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে, বিআরআইয়ের অধীনে ঋণ ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ২০২০ সালে মাত্র ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।
এছাড়া বিআরআই প্রকল্প দুর্নীতি, অনিয়ম, ঋণ-ফাঁদের ভয় এবং নেতিবাচক সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এমনকি চীনের মিত্র পাকিস্তানেও বিআরআইয়ের অধীনে ঘোষিত মোট ১২২টি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৩২টি সম্পন্ন করা যেতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
একটি স্বাধীন গবেষণা সংস্থা রোডিয়াম গ্রুপের মতে, করোনা মহামারির আগেও বিআরআই প্রকল্পের অগ্রগতি বা বৃদ্ধি কমতে শুরু করে। দ্য কাবুল টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে উন্নয়নশীল বিশ্বের অধিকাংশ দেশে চীনা বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে।
চীন ঋণ ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বিআরআই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে উন্নয়নশীল বা দরিদ্র আফ্রিকান এবং এশিয়ার দেশগুলোকে প্রলুব্ধ করে আসছে। তবে কোভিড-১৯ মহামারি লক্ষ লক্ষ চীনা ব্যবসাকে দেউলিয়া করে দিয়েছে এবং নগদ প্রবাহ বিঘ্নিত হয়েছে, যার ফলে দেশটির অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
স্বাধীন গবেষণা দলগুলো বিআরআইয়ের ট্র্যাকে ফিরে আসার ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী নয়।
সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসির সহযোগী অধ্যাপক জেমস ক্র্যাবট্রি বলেছেন, চীনকে শক্ত দড়িতে হাঁটতে হবে। যেহেতু বিআরআই ঋণগ্রহীতা দেশগুলো চায় তাদের ঋণ বাতিল করা হোক। অন্যদিকে চীনা নাগরিকরা এই ধরনের কঠিন সময়ে বিদেশি খরচের বিপক্ষে। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
নিউজ ডেস্ক