জিনজিয়াংয়ে উইগুর মুসলিমদের ধরে নিয়ে গিয়ে যেসব ক্যাম্পে নির্যাতন চালানো হচ্ছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার কার্যকর উদ্যোগ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাসিত জাতিগত উইগুরদের প্রতিনিধিত্বকারী বৃহত্তম দল এক চিঠিতে এ আহ্বান জানায়।
একটিভিস্ট এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রত্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের বন্দি শিবিরে ১০ লাখের বেশি মুসলিম উইগুর এবং অন্যান্য তুর্কি মুসলমানকে আটকে রাখা হয়েছে।
ইউগুরদের প্রতি চীনের আচরণকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
তবে চীন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ইসলামী চরমপন্থা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদকে দূর করতে ওই শিবিরগুলোতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে ব্লিঙ্কেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান চীনের শীর্ষ কূটনীতিবিদ ইয়াং জিয়েচি এবং স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই-এর সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
ব্লিনকেন ইতোমধ্যে চীনের বিরুদ্ধে জোর জবরদস্তি ও আগ্রাসনের অভিযোগ এনেছেন।
বিশ্ব উইগুর কংগ্রেসের সভাপতি ডলকুন ইসা ব্লিঙ্কেনকে বলেন, প্রথম এবং সর্বাগ্রে, চীনের অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে পূর্ব তুর্কিস্তানে মানবতার বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা এবং অপরাধ বন্ধ করা জরুরি।
নির্বাসিতরা জিনজিয়াংকে ‘পূর্ব তুর্কিস্তান’ বলে অভিহিত করে এবং দলটি উইগুর শব্দটির জন্য একটি ভিন্ন বানান ব্যবহার করে।
ইসা বলেন, চীনকে অবশ্যই জিনজিয়াং এবং অন্যান্য অঞ্চলে জোর পূর্বক শ্রমের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের তদন্তের অনুমতি দিতে হবে।
জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চেন জু সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে বলেন, আজ জিনজিয়াং এবং তিব্বত সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা উপভোগ করছে। কিন্তু চীনের গায়ে গণহত্যার লাগানো হয়েছে, এর চেয়ে অযৌক্তিক কিছু হতে পারে না।
কূটনীতিকদের মতে, বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনা কর্মকর্তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
চীন বলেছে, এই অঞ্চলে জোরপূর্বক শ্রম এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং সেখানে কোন ডিটেনশন ক্যাম্প নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
নিউজ ডেস্ক