বাইডেন আফগানিস্তান সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যাপারে ট্রাম্পের সময়সীমার মুখোমুখি: 'আপনি যেভাবেই হোক না কেন, আমরা একটি বিশৃঙ্খল ফলাফলের দিকে যাচ্ছি'
গত দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে আছে মার্কিন সৈন্য। আগামী ১ মের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র কি তাদের সরিয়ে নেবে? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবানদের সঙ্গে এক চুক্তিতে আগামী ১ মের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন।
কংগ্রেসে বাইডেনের কিছু প্রধান মিত্র সতর্ক করে দিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
অন্যপক্ষ বলছে, তারা আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান দেখতে চায়।
মঙ্গলবার এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, ১ মের সময়সীমা পূরণ করা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, এটা ঘটতে পারে, কিন্তু কঠিন। বাস্তবতা হচ্ছে, এটা খুব একটা কঠিন সমঝোতা চুক্তি ছিল না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না সরানো হলেও মার্কিন সৈন্যরা বেশিদিন আফগানিস্তানে থাকবে না।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তালেবানদের সাথে ট্রাম্প প্রশাসনের যে চুক্তি হয়, সেই চুক্তির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সমস্ত বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়; বিনিময়ে তালেবানরা আল-কায়েদার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে আমেরিকান বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। এখন প্রায় ২,৫০০ মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তানে অবস্থান করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তালেবানরা আল-কায়েদার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। তারা আফগানিস্তানকে একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করছে।
ট্রাম্পের মতো বাইডেনও আমেরিকার ‘চিরকালের যুদ্ধ’ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। আফগানিস্তানে ২০ বছরের এই সংঘর্ষে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছে এবং ২,৩০০ জনেরও বেশি আমেরিকান জীবন দিয়েছে। ৩৮ হাজারের বেশি আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, মার্কিন সেনা থাকলেও আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। কেন না তালেবানরা এখন দেশটির বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, প্রেসিডেন্টের লক্ষ্য খুবই পরিষ্কার। আমাদের সৈন্যদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যদিকে আফগানিস্তান যেন সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়স্থল না হয়ে ওঠে তাও নিশ্চিত করতে হবে।
আফগান প্রেসিডেন্টের কাছে এক চিঠিতে ব্লিংকেন লিখেছেন, আমরা ১ মের মধ্যে আমাদের বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করছি। তবে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলে সহিংসতার আশঙ্কাও রয়েছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, আফগানিস্তানে এখন বাইডেনের জন্য সেনা প্রত্যাহারের বিকল্প তেমন কিছু নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
নিউজ ডেস্ক