লাদাখের পর্যটন বাড়াতে দুঃসাহসিক পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহ।
যদি এই প্রস্তাব পাস হয়ে যায়, তাহলে এটি শুধু ভারতের নয়, বিদেশের দুঃসাহসিক পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করবে।
এই হিমাবহ একটি বিতর্কিত এলাকা। ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেই এর মালিকানা দাবি করে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ঘোষণা করেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সিয়াচেন হিমবাহের বেজ ক্যাম্প কুমার পোস্ট পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত, যা ১৫,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।
এ নিয়ে লাদাখের নেতারা দিল্লিতে রাজনাথের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন, যেখানে পর্যটকদের জন্য সিয়াচেন হিমবাহ খুলে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
প্রতিনিধি দলটি দাবি করেছে, সিয়াচেন হিমবাহের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর অন্যান্য সীমান্ত এলাকাও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া উচিত। কারণ অনেক ব্যক্তি সামনের এলাকা পরিদর্শন করতে আগ্রহী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেছেন যে পর্যটকদের জন্য যে সব এলাকা খোলা যাবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
লাদাখে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র ২৪,০০০ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে শীতকালে তাপমাত্রা নিয়মিতভাবে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। সিয়াচেন হিমবাহ মেরু অঞ্চলের বাইরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিমবাহ।
২০০৩ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তি পর্যন্ত সিয়াচেন হিমবাহে প্রায় প্রতিদিনই যুদ্ধ চলতো।
২০১৯ সালে যখন ভারত ঘোষণা করে যে সিয়াচেন হিমবাহের বেজ ক্যাম্প পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে, তখন পাকিস্তান আপত্তি জানিয়েছিল। পাকিস্তানের অভিযোগ, ভারত সিয়াচেন অঞ্চল দখলের চেষ্টা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক