যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ জেনারেল মঙ্গলবার বলেছেন, আলোচনার অংশীদার হিসেবে তালেবানদের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে তার গভীর সন্দেহ রয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আগামী মাসগুলোতে আফগানিস্তান থেকে তাদের সকল সৈন্য সরিয়ে কূটনীতিতে মনোনিবেশ করতে যাচ্ছে।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ১ মে থেকে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। তিনি দেশটির অভ্যন্তরীণ সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করার জন্য তাদের থাকার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শুনানিতে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান মেরিন জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি বলেন, তালেবানদের ওপর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে আমার গভীর সন্দেহ রয়েছে। তবে আমাদের দেখতে হবে তারা এখানে কী করতে যাচ্ছে।
‘যদি তারা আফগানিস্তানের জন্য ভবিষ্যতে কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায়, তবে তারা যে চুক্তিগুলো করেছে তা বজায় রাখতে হবে। মার্কিন সামরিক বাহিনী এখনো সেগুলো পর্যবেক্ষণ ও যাচাই করার সক্ষমতা রাখে।
জানুয়ারিতে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে প্রায় ৫০০ আল কায়েদা যোদ্ধা রয়েছে এবং তালেবানরা চরমপন্থী দলের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তবে তালেবানরা অস্বীকার করে যে আফগানিস্তানে আল কায়েদার উপস্থিতি রয়েছে।
সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হুমকি পর্যবেক্ষণ করবে, সন্ত্রাসবিরোধী ক্ষমতা পুনর্বিন্যস্ত করবে এবং আফগানিস্তান থেকে উদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির জবাব দিতে এই অঞ্চলে যথেষ্ট সম্পদ রাখবে।
হোয়াইট হাউসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা রোববার বলেছেন, মার্কিন সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারবে না, এমনকি তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভূত হুমকির দিকে মনোনিবেশ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক