ফিলিপাইন তার সমুদ্র সীমায় কী করবে আর কী করবে না, তা নিয়ে বলার অধিকার চীনের নেই। বুধবার এমনটিই বলেছে ম্যানিলার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা সচিব ডেলফিন লরেঞ্জনা সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে আমাদের মহড়া চলবে। এর বিরোধিতা করার কোনো অধিকার চীনের নেই।
চীন প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগর নিজেদের বলে দাবি করে থাকে। এই সাগর দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের বাণিজ্য হয়। ২০১৬ সালে দ্য হেগের একটি মধ্যস্থতাকারী ট্রাইব্যুনাল দাবি করে, চীন পুরনো মানচিত্রের ওপর ভিত্তি করে যা দাবি করে, তা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড এবং ফিশারিজ ব্যুরো শনিবার দেশটির ২০০ মাইল দীর্ঘ এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের (ইইজেড) অভ্যন্তরে সামুদ্রিক মহড়া শুরু করেছে। এর আগে চীনা নৌকার 'হুমকিপূর্ণ' উপস্থিতি প্রতিরোধের জন্য তাদের উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা দেয় ম্যানিলা।
এই মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে, ফিলিপাইনের উচিত পরিস্থিতি জটিল না করা এবং বিরোধ বাড়ানো বন্ধ করা।
ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছে, ফিলিপাইন কী করতে পারে আর কী করতে পারে না তা বলার অধিকার চীনের নেই।
দক্ষিণ চীন সাগরে শত শত চীনা নৌকার দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতি নিয়ে সুর কঠোর করেছে ম্যানিলা। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২১
নিউজ ডেস্ক