মাতৃভাষার চর্চা করা এখন উইগুর মুসলিমদের জন্য মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চীন চায় না উইগুরদের ভাষা আর সংস্কৃতি টিকে থাকুক।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসে বলা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল পিআরসির একটি আদালত উইগুর ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের জন্য জিনজিয়াংয়ের শিক্ষা বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক সাত্তার সাওয়াউতের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে। তবে সাজা দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ আরও ৫ উইগুর মুসলিম শিক্ষাবিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। কয়েক বছর আগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।
দণ্ডিতদের মধ্যে একজনের নাম ইয়ালকুন রোজি। তারা ছেলে কামালতুর্ক ইয়ালকুন বলেন, এই শাস্তি বেইজিংয়ের উইগুর সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার প্রচেষ্টার অংশ। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যেহেতু এই পাঠ্যপুস্তকগুলো উইগুর সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ, তাই চীন তাদের টার্গেট করেছে। তারা উইগুর ভাষা শিক্ষা এবং সংস্কৃতিকে পুরোপুরি নির্মূল করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অংশীদার দেশগুলি জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ঘটাতে চায়।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, চীন দীর্ঘদিন ধরেই উইগুর মুসলিমদের গণহারে বন্ধী করে রাখছে, জোরপূর্বক শ্রম আদায় করছে, নারীদের বন্ধ্যা করে দিচ্ছে এবং ধর্ষণসহ নানা ধরনের নিপীড়ন চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই নিপীড়ন নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত চীনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২১
নিউজ ডেস্ক