ঢাকা: করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ডোজের টিকার আর এক সপ্তাহের মজুদ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানভেদে তা আরও দু-একদিন কমবেশি হতে পারে।
রোববার (১৬ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণের ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়া যাবে। করোনার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তাই টিকা নিয়ে কারও দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আমাদের সব চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
‘দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। আমরা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউটির মাঝখানে আছি। কাজেই দ্বিতীয় ঢেউ থেকে আমরা এখনও পরিত্রাণ পাইনি। তাই আমাদের পরিবারসহ পাড়া-প্রতিবেশী যারা আছে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং অন্যদের সচেতন রাখতে হবে। ’
নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের ২০ থেকে ২৬টি পরীক্ষাগারে জিনোম সিকোয়েন্স হচ্ছে। তবে সিকোয়েন্সের জন্য আমাদের কিছুটা সময় লাগে। সেই সময় ও তথ্য-উপাত্ত প্রায় নিশ্চিত হয়ে সংগ্রহ করার পরেই আমরা সেটি ভাগাভাগি করে নেই। কাজেই আমাদের এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বেশি সংখ্যক মানুষকে পরীক্ষা করা।
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে যারা ফিরে আসছেন জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ছয়জন রোগী চিহ্নিত হয়েছেন। তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে কেউ সংক্রমিত হয়নি।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে ফেরত আসা অনেকেই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে পালানোর অপচেষ্টা করছেন। তাদের অনেককে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে আনছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২১
পিএস/এএ