সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুম ও তার স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসেইনের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়েছে।
বিচ্ছেদের জন্য প্রিন্সেস হায়াকে সব মিলিয়ে ৫৫ কোটি পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার ২১৫ কোটি টাকায়) পরিশোধ করতে হবে দুবাইয়ের শাসককে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট বিচ্ছেদের জন্য অর্থের এই পরিমাণ ঠিক করে দেন।
রায়ে প্রিন্সেস হায়ার যুক্তরাজ্যের দুটি বিলাসবহুল সম্পত্তি দেখভালের খরচ দিতে বলা হয়েছে সাবেক স্বামী আল-মাখতুমকে। এছাড়া তাদের সংসারে জন্ম নেওয়া দুই সন্তানের প্রত্যেকের জন্য বার্ষিক ৫৬ লাখ পাউন্ড দিতে হবে। এর জন্য আরও ২৯ কোটি পাউন্ড গ্যারান্টি হিসেবে রাখতে বলা হয়েছে।
সাবেক স্ত্রী ও সন্তানদের অবকাশযাপন, তাদের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, নিরাপত্তাসহ আরও অনেক কাজে খরচের ভার বইতে হবে দুবাই শাসককে।
দুবাইয়ের ৭২ বছর বয়সী নেতা আল মাকতুমের সঙ্গে প্রিন্সেস হায়ার বিচ্ছেদ হয় ২০১৯ সালে। স্ত্রীর সঙ্গে এক ব্রিটিশ দেহরক্ষীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে বিশ্বাস করতেন আমিরাতি প্রধানমন্ত্রী। পরে নিরাপত্তা শঙ্কায় ১৪ ও ৯ বছর বয়সী দুই সন্তানকে নিয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান প্রিন্সেস হায়া।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৭ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়া জর্ডানের সাবেক বাদশাহ হুসেইন বিন-তালালের মেয়ে। ৭২ বছর বয়সী ধনকুবের রশিদ আল-মাখতুমের ছয় স্ত্রীর মধ্যে তিনি কনিষ্ঠতম। দুই সন্তান নিয়ে ২০১৯ সালে দুবাই ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান প্রিন্সেস হায়া। তিনি এখন যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সুরিতে একটি বিলাসবহুল বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন।
যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের জন্য প্রিন্সেস হায়াকে ২৫ কোটি ১৫ লাখ পাউন্ড দিতে হবে দুবাই শাসককে। এছাড়া লন্ডনে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কেনসিংটন প্রাসাদের পাশের একটি বিলাসবহুল বাড়ি ও সুরির বাড়িটির নিয়ন্ত্রণ থাকবে হায়ার হাতে।
বিশ্ব ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল বিবাহবিচ্ছেদ বলা হচ্ছে এটিকে। এর আগে ২০১৯ সালে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ধনকুবের জেফ বেজোস ও স্ত্রী ম্যাকেনজি বেজোসের বিচ্ছেদ হয়। এ জন্য ধনকুবেরকে গুনতে হয় প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২১
এমজেএফ