ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকা কাঠুয়ার বাসিন্দা কুলদ্বীপ সিং। জীবনের ২৯ বছর কাটিয়েছেন পাকিস্তানের জেলে।
গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে ৫৩ বছর বয়সী সেই কুলদ্বীপ সিং ঘরে ফিরলেন। এ উপলক্ষে আতশবাজি পুড়িয়ে উৎসব করল গ্রামবাসীরা। অনেকদিন পর হাসি ফিরে এলো তার পরিবারের সদস্যদের মুখে।
১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে ভুল করে পাকিস্তানের সীমানায় ঢুকে পড়েন কুলদ্বীপ। ধরা পড়ার পর তার ওপর সাড়ে তিন বছর ধরে অমানবিক নির্যাতন চালায় পাকিস্তানের তদন্তকারী সংস্থাগুলো। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কুলদ্বীপকে একটি আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে ২৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পান তিনি।
কুলদ্বীপ জানান, পাকিস্তানে কোনো ভারতীয় ধরা পড়লেই তাকে ‘গুপ্তচর’ বলে অভিযুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে তাদের ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। দিনের পর দিন যা সইতে হয়েছে কুলদ্বীপকে।
সব বন্ধু, গ্রামবাসী এবং বিশেষ করে যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি কখনো আশা হারাইনি। কিন্তু দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে কখনো পিছপা হবেন না।
পাকিস্তানের সীমানায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর লাহোরের কোট লাখপত জেল থেকে পরিবারকে চিঠি দিয়েছিলেন কুলদ্বীপ। তখনই পরিবারের সদস্যরা তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন। তার মুক্তির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালায় ভারতীয় হাই কমিশন। দীর্ঘদিন চিঠি চালাচালি ও আইনি লড়াইয়ের পর কুলদ্বীপ পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্তি পান। গত ২০ ডিসেম্বর অমৃতসরের ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে ভারতে ঢোকেন তিনি।
কুলদ্বীপের ছেলে অমিত বলেন, বাবার অনুপস্থিতিতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। তবে তার মুক্তির জন্য আমরা সব দরজায় কড়া নেড়েছি। অনেকে আমাদের সাহায্য করেছেন। আমাদের জীবন এখন বদলে গেছে।
সূত্র: ডেক্কান ক্রনিক্যাল
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
এনএনআর