ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শাড়ি ধার দিচ্ছে ব্যাংক, হাসি ফুটছে দুস্থ নারীদের মুখে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
শাড়ি ধার দিচ্ছে ব্যাংক, হাসি ফুটছে দুস্থ নারীদের মুখে

নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের জীবনে ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে করোনা মহামারি। বিভিন্ন দেশে ঘোষিত লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ।

তেমনই একজন ভাবনা বেন।

ভারতের গুজরাটের আনন্দ জেলার ভদরান গ্রামের এই নারী লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন। ভালো শাড়ি না থাকায় গত বছর কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি তিনি। নেই নতুন শাড়ি কেনার আর্থিক সামর্থ্যও।

তবে ভাবনার মতো অনেক নারীর ‘সঙ্কট’ মিটিয়েছে একটি শাড়ি ব্যাংক। ভদরান গ্রামের এই ব্যাংকে বিনা পয়সায় শাড়ি ধার দেওয়া হয়। তবে এজন্য মানতে হয় একটি শর্তও। শাড়িটা যে অবস্থায় নেওয়া হয়েছিল, অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফেরার পর সেই অবস্থায় ধুয়ে-কেচে ফেরত দিতে হবে।

পরিচিতজনের মাধ্যমে এই শাড়ি ব্যাংকের খবর পেয়েছিলেন ভাবনা। এই উদ্যোগ হাসি ফুটিয়েছে গ্রামের অন্য নারীরা মুখেও।

শাড়ি ব্যাংকের এক নারী কর্মী বলেন, মহামারি কারণে গত দুই বছর যারা নিদারুণ আর্থিক কষ্টে ভুগছেন, তাদের সাহায্য করাই আমাদের উদ্দেশ্য। দুস্থ, দুঃখী নারীরা যখন কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য মনের মতো শাড়িটি খুঁজে নিয়ে বলেন, এটা নেব, তখন আমাদের খুব ভাল লাগে। আমরা তৃপ্তি পাই।

ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে প্রায় ১৫০টা শাড়ি পেয়েছে ব্যাংকটি। শাড়ি নিতে চাইলে ব্যাংক তা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট করে। ভাল কন্ডিশনে ফেরত পেলে ব্যাংক পরের বার আরেকটি শাড়ি ধার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

ভদরান গ্রামের বাসিন্দা শৈলেশভাই প্যাটেল। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পালানপুরের আদি বাসিন্দা অমরভাই শাহের সঙ্গে তার দেখা হয়। তিনি আমেরিকার শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার সংস্থার বোর্ড মেম্বার। অমরভাই ভদরানে শাড়ি ব্যাংক গড়ার পরামর্শ দেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যাংকটি গড়া হয়।

প্রথমদিকে শাড়ি ব্যাংকে ডোনেট করেন নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া, কানেক্টিকটের প্রবাসী ভারতীয়রা। ভদরান গ্রামের ব্যাংকটিতে এখন আশপাশের এলাকার লোকজনও শাড়ি ডোনেট করছেন। মূলত এভাবেই চলছে অনন্য উদ্যোগের ব্যাংকটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।