ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিদ্রোহীদের হামলায় কঙ্গোয় ২ ডজনের বেশি বেসামরিক নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
বিদ্রোহীদের হামলায় কঙ্গোয় ২ ডজনের বেশি বেসামরিক নিহত

গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হামলায় দুই ডজনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। দেশটির সেনাবাহিনী ও নাগরিক সমাজ গোষ্ঠীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

রোববার (২৮ মে) প্রকাশিত খবরে বলা হয়, পূর্ব কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশের বেনি অঞ্চলের একটি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যান্থনি মুয়ালুশাই এ তথ্য নিশ্চিত করেন। অবশ্য তিনি এক ডজনেরও বেশি মানুষকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, অ্যান্থনি মুয়ালুশাই এক ডজনেরও বেশি মানুষকে হত্যার বললেও কঙ্গোর রেড ক্রস বলছে, শনিবার (২৮ মে) বেনি অঞ্চলের বেউ মানিয়ামা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। রেড ক্রসের স্থানীয় প্রধান ফিলিপ বোনানে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কিভু সিকিউরিটি ট্র্যাকার (কেএসটি) নামে একটি সংস্থা বলছে, অন্তত ২৭ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি কিভুর স্থলভাগে একটি বিশেষজ্ঞ দলের মাধ্যমে অঞ্চলটিতে সহিংসতা পর্যবেক্ষণ করে।

অ্যান্থনি মুয়ালুশাই বলেন, আমরা বেউ মানিয়ামা গ্রামে ভোরবেলা গুলির শব্দ শুনেছি। আমরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছলাম, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। কারণ, অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) নামে একটি বিদ্রোহী সংগঠন আমাদের এক ডজনেরও বেশি সহকর্মীকে ছুরি দিয়ে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই আমাদের সেনা সদস্যরা হামলাকারীদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা এডিএফ’র সাত সদস্যকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। আটক করা হয় একজনকে।

এডিএফ’র বিরুদ্ধে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
গত শুক্রবারও (২৭ মে) ইতুরি প্রদেশে ১৭ জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহতদের সবাই এডিএফ’র হত্যার শিকার বলে জানিয়েছে স্থানীয় রেড ক্রসের এক প্রতিনিধি।

সংগঠনটিকে নিষ্ক্রিয় করতে গত বছর নভেম্বরের শেষ থেকে কঙ্গোলিজ এবং উগান্ডার সেনাবাহিনী যৌথ সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে।

উত্তর কিভু ও ইতুরি প্রদেশ ২০২১ সালের মে থেকে অবরোধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানকার সেনাবাহিনী ও পুলিশ সশস্ত্র গোষ্ঠীর আক্রমণ ঠেকাতে জ্যেষ্ঠ প্রশাসকদেরও বদলি করেছে। এতকিছুর পরও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো বন্ধ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

পূর্ব কঙ্গোর অঞ্চলগুলোয় ১২০টিরও বেশি সশস্ত্র দল ঘুরে বেড়ায়। সেখানে বেসামরিকদের ওপর চলা গণহত্যা সাধারণ ঘটনা।

সূত্র: আল জাজিরা

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।