ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার শীর্ষ পদে নেই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার শীর্ষ পদে নেই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ 

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি পদের একটিতেও কোনো শ্বেতাঙ্গ পুরুষ নেই। ব্রিটিশ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটলো।

 

এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অর্থমন্ত্রী হিসেবে কোয়াসি কোয়ার্টেংকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাস। কোয়ার্টেংয়ের পরিবার ১৯৬০-র দশকে ঘানা থেকে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিল। আরেক কৃষ্ণাঙ্গ জেমস ক্লেভারলিকে করা হয়েছে ব্রিটেনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ক্লেভারলির মা সিয়েরা লিওন থেকে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন। তবে তার বাবা শ্বেতাঙ্গ ছিলেন। মিশ্র জাতির শিশু হিসেবে তিনি নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন বলে আগে জানিয়েছিলেন ক্লেভারলি।  

সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে যুক্তরাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ব্র্যাভারম্যানের বাবা ও মা ছয় দশক আগে কেনিয়া ও মরিশাস থেকে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। প্রীতি প্যাটেলের পর তিনি ব্রিটেনের দ্বিতীয় জাতিগত সংখ্যালঘু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন। যুক্তরাজ্যের পুলিশ ও অভিবাসন বিভাগের কর্তৃত্ব ব্র্যাভারম্যানের হাতে থাকবে।

ট্রাসের মন্ত্রিসভায় বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ নারী কামি বেইডেনক। তারা বাবা-মা নাইজেরিয়া থেকে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় ট্রাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন।

গত কয়েক বছর ধরে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টি পার্লামেন্টের প্রার্থী হিসেবে অশ্বেতাঙ্গদেরও মনোনয়ন দেওয়া শুরু করে । এরপরই মন্ত্রিসভায় এমন বৈচিত্র দেখা দিয়েছে।

কয়েক দশক আগেও ব্রিটিশ সরকারে শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের আধিপত্য ছিল। ২০০২ সালে প্রথম জাতিগত সংখ্যালঘুদের থেকে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান পল বোয়েটাং। তিনি দেশটির অর্থমন্ত্রী ছিলেন।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের দৌঁড়ে লিজ ট্রাসের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা ঋষি সুনাক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। নেতৃত্বের দৌঁড়ে তিনি ট্রাসের কাছে হেরে গেলেও রানার আপ হন। এর আগে সুনাক যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

তবে তারপরও ব্রিটেনের ব্যবসা, বিচার বিভাগ, সরকারি চাকরি ও সেনাবাহিনীতে শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্য বজায় আছে। যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টি বৈচিত্র্যের ওপর জোর দিলেও দলটির পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে মাত্র এক চতুর্থাংশ নারী এবং ৬ শতাংশ জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু।

সূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২
ইআর
 

 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।