ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে প্রতি চার সেকেন্ডে একজন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে প্রতি চার সেকেন্ডে একজন!

সারা বিশ্বে শুধু ক্ষুধার কারণে প্রতি চার সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ‘বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা সংকটের অবসান ঘটাতে’ আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে প্রায় আড়াইশ’ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)।

খবর এএফপি।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ আহ্বান জানায় অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালসহ পঁচাত্তরটি দেশের ২৩৮টি সংস্থা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জন্য নিউ ইয়র্কে জড়ো হওয়া বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠিও দিয়েছে এনজিওগুলো।

চিঠিতে দিন দিন ক্ষুধার মাত্রা আকাশচুম্বী হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, এটি বিস্ময়কর! পৃথিবীর সাড়ে ৩৪ কোটি মানুষ বর্তমানে তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি।

এতে আরও বলা হয়, একবিংশ শতাব্দীতে আর কখনো দুর্ভিক্ষ হবে না বলে বিশ্ব নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও, সোমালিয়ায় আরও একবার দুর্ভিক্ষ আসন্ন। বিশ্বজুড়ে, ৪৫টি দেশে পাঁচ কোটি মানুষ অনাহারের দ্বারপ্রান্তে।

প্রতিদিন ১৯ হাজার ৭০০ জন ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি চার সেকেন্ডের মাথায় মারা যাচ্ছে একজন।

খোলা চিঠির অন্যতম স্বাক্ষরকারী ইয়েমেনের ফ্যামিলি কেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মোহান্না আহমেদ আলী এলজাবালি বলেছেন, এটি ভয়াবহ একটি সংকট, কারণ ২১ শতকে কৃষি ও ফসল কাটায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। অথচ আমরা এখন দুর্ভিক্ষের কথা বলছি। এটি একটি দেশ বা একটি মহাদেশ সম্পর্কে নয়। ক্ষুধারও মাত্র একটি কারণ থাকে না। এটি সমগ্র মানবতার অবিচার।

তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিক জীবনরক্ষাকারী খাদ্য ও দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা প্রদানে আমাদের আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা করা উচিত নয়। লোকজন যাতে তাদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব ও নিজেদের এবং পরিবারের জন্য খাদ্য সরবরাহ করতে পারে; আমাদের তা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করে দেওয়া প্রয়োজন।

সূত্র: আল আরাবিয়া নিউজ

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।