ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সাক্ষাৎকার

নওয়াপাড়াকে মডেল পৌরসভা করতে চান সুশান্ত দাস

উত্তম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
নওয়াপাড়াকে মডেল পৌরসভা করতে চান সুশান্ত দাস মেয়র সুশান্ত দাস শান্ত

যশোর: যশোরের শিল্পনগরী নওয়াপাড়াকে  মডেল পৌরসভায় রুপান্তিত করতে চান মেয়র সুশান্ত দাস শান্ত। শিল্পনগরী নওয়াপাড়া পৌরসভায় রাজস্ব আয় অনেক।

সততার সঙ্গে এই রাজস্ব আয় উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।

এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করায় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে তিনি নওয়াপাড়াকে মডেল পৌরসভায় পরিণত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে কাজ করে যাবেন সুশান্ত।

বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত দাস শান্ত।

মেয়র বলেন, পৌর এলাকার পুরাতন রাস্তা-ঘাট ও ড্রেন সংস্কার, নতুন রাস্তা নির্মাণ, প্রতিটি সড়কে আলোর ব্যবস্থা এবং নাগরিক সেবার মাধ্যমে নওয়াপাড়াকে মডেল পৌরসভার রূপান্তিত করা  হবে। এছাড়াও নওয়াপাড়ার উন্নয়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য রনজিৎ রায়ের সহযোগিতা নিয়ে নতুন প্রকল্প গ্রহণে তিনি সচেষ্ট থাকবেন।    

অভয়নগরের নওয়াপাড়া রাজঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে ১৯৮৮ সালে রাজঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে। দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের। ১৯৯০ সালে এসএসসি পাসের পর তিনি রাজঘাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯২ সালে নওয়াপাড়া কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৫ সালে নিজ যোগ্যতা বলে অভয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের দুইবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একই বছরে (১৯৯৫) সালে তিনি খুলনা সরকারি বিএল কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

২০০৩ সালে যশোর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং ২০০৪ সালে নওয়াপাড়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় অত্যন্ত প্রত্যয়ী এই ছাত্রনেতাকে আর পিছনে ফিরতে হয়নি। ২০০৫ সাল থেকে তিনি অভয়নগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আসলে যে যাই বলুক, নির্বাচনে দলীয় প্রতীক একটা বড় ফ্যাক্টর। প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, পছন্দ-অপছন্দ যাই থাকুক। মানুষ তার দলীয় প্রতীকের পেছনে ঐক্যবদ্ধ হন।

নির্বাচনের পূর্ব পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রায় ৩ মাস আগে থেকে মনে মনে পরিকল্পনা করি। তবে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে মনোনয়নের বিষয়টি চুড়ান্ত হলে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করি।

শান্ত বলেন, এই পৌরসভায় আমার নিজের (যে এলাকার বাসিন্দা ৯নং) ওয়ার্ডে দুইবার কাউন্সিলর নির্বাচন করায় কর্মীরা প্রাণচঞ্চল ছিল। তারা সবসময় উৎসাহ দিয়েছে। তারা মনে করতো আমি নির্বাচনে দাঁড়ালে ভালো করবো। পরে মনোনয়ন চুড়ান্ত হলে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জোটগতভাবে প্রচারণা শুরু করি।

মেয়র বলেন, নির্বাচনে কোনো ওয়ার্ডে কত ভোট পেয়েছি। এটা মুখ্য বিষয় নয়। সব ওয়ার্ডে সমবণ্টনের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করতে চাই। বরং যেসব ওয়ার্ডে কম ভোট পেয়েছি। সেই এলাকায় উন্নয়ন কাজ ও নাগরিক সেবার মধ্য দিয়ে আমার সম্পর্কে তাদের ভুল ধারণাকে পরিস্কার করতে চাই।

একজন সংসদ সদস্যের চেয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির দায়বদ্ধতা অনেক বেশি মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংসদ সদস্যের সঙ্গে তৃণমূল মানুষ মিশতে না পারায় কিছুটা দূরত্ব থেকেই যায়। এছাড়াও ছোট-খাটো সমস্যায় পড়ে মানুষ সংসদ সদস্যের কাছে যেতে পারে না। তবে, অধিকাংশ স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি নিজ নির্বাচিত এলাকায় বসবাস করায় তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের জনসম্পৃক্ততা বেশি। এজন্য মানুষের বিপদে-আপদে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির দায়বদ্ধতা বেশি।

নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী নওয়াপাড়া পৌর এলাকার দেড় লাখ মানুষের জন্য একটি ফ্রি সার্ভিস অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। শিল্প ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়ার মোট জনসংখ্যার একাংশ (প্রায় ৪০ হাজার) মানুষ কর্মের তাগিদে বিভিন্ন জেলা থেকে এসে নওয়াপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছেন। তাদের কেউ মারা গেলে কবরস্থানের সংকট থাকায় খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। এ জন্য অবিলম্বে পৌর এলাকায় দুইটি স্থায়ী কবরস্থান নির্মাণ এবং শ্মশান সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫
পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।