ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সাক্ষাৎকার

গ্রিন ও ক্লিন পৌরসভা গড়ার অঙ্গীকার নজরুলের

স্বপন চন্দ্র দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
গ্রিন ও ক্লিন পৌরসভা গড়ার অঙ্গীকার নজরুলের ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিরাজগঞ্জ: কাগজে-কলমে প্রথম শ্রেণি হিসেবে মর্যাদা পেলেও তেমন উন্নয়ন হয়নি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভার। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার যে রূপ হওয়ার কথা তা নেই, নেই তেমন নাগরিক সুবিধাও।



উল্লাপাড়াকে ডিজিটাল, স্মার্ট, গ্রিন ও ক্লিন পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এসব কথা বলেন এ পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র নজরুল ইসলাম।

সুপেয় পানি সরবরাহ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার আধুনিকায়নসহ সোলার বাতির মাধ্যমে আলোকিত নগরী গড়ার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত পৌরসভা গড়তে চাই।  

সম্প্রতি উল্লাপাড়ার নিজ বাসভবন বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত এ মেয়র বলেন, পৌরবাসীর সেবার লক্ষ্যে আমি মেয়র নির্বাচন করেছি। জনগণকে যে স্বপ্ন দেখিয়ে আমি তাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চাই। আর আমি বিশ্বাস করি সেটা আমার পক্ষে করা সম্ভব হবে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে নাগরিকদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমি সচেষ্ট থাকবো।  

নজরুল ইসলাম বলেন, আমার সৌভাগ্য যে প্রিয় দলের প্রিয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পেরেছি। এ জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

তিনি যে আস্থা ও বিশ্বাসে আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি সে মর্যাদা রাখতে সক্ষম হয়েছি। এ জন্য উল্লাপাড়া পৌরবাসীকেও অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের মাধ্যমে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৯৫ সালে সরকারি আকবর আলী কলেজের ভিপি ও ৯৬ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। প্রায় আট বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় ২০০৪ সালে উল্লাপাড়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে সর্বকনিষ্ঠ কমিশনার নির্বাচিত হই। ওই সময় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত চারদলীয় জোট সরকারের দেওয়া রাজনৈতিক মামলায় নির্যাতিত ও কারাবন্দি হই।

২০০৫ সালে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ সাত বছর দায়িত্ব পালন করি। তখন থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়ে পৌরবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। সে লক্ষ্যে যুবলীগ থেকে পদত্যাগ করে ২০১২ সালে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হই। আর সে থেকেই পৌরবাসীর সুখ-দুঃখে তাদের পাশে থেকে কাজ করে আসছি।

পরিবহন ব্যবসার পাশাপাশি ঠিকাদারী পেশায় নিয়োজিত এ মেয়র স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি জেলা সড়ক পরিবহন মোটর মালিক গ্রুপের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়াও উল্লাপাড়া কামিল অনার্স মাদ্রাসার সহ-সভাপতি, মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের অভিভাবক সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

কণ্ঠশিল্পি হিসেবে এলাকায় তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে পুরস্কৃত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিন বছর উল্লাপাড়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে প্রায় চার বছর ধরে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী উল্লাপাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।