ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সাক্ষাৎকার

কলারোয়াকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা করবেন আক্তারুল

শেখ তানজির আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬
কলারোয়াকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা করবেন আক্তারুল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভাকে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। সব বৈষম্য দূর করে রূপান্তরিত করা হবে মডেল পৌরসভায়।

রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রোড লাইট, সুপেয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।

সম্প্রতি বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এভাবেই কলারোয়া পৌরসভার উন্নয়ন নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন পুনর্নির্বাচিত মেয়র গাজী আক্তারুল ইসলাম।

প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হয়ে পৌরবাসীর চাহিদা মতো উন্নয়ন কাজ করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার সুপেয় পানি সরবরাহের আওতা আরো বাড়ানো হবে। যেসব এলাকায় কম ভোট পেয়েছি, নিঃসন্দেহে সেসব এলাকা অবহেলিত। যা আমার চোখ খুলে দিয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওইসব এলাকার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে।

সবে মাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা ও কর্ম কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে। -বলেন নবনির্বাচিত মেয়র।

একজন সংসদ সদস্যের চেয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির দায়বদ্ধতা অনেক বেশি উল্লেখ করে এই মেয়র বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা যেমন তৃণমূলে যেতে পারে, তেমনি তৃণমূল মানুষও তাদের কাছে এসে সব সুখ-দুঃখের কথা বলতে পারে। যেটা একজন সংসদ সদস্যের কাছে যেয়ে বলা সম্ভব নয়। আমাদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে চলতে হয়।

১৯৮৫ সালে কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে উপজেলার জি কে এম কে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন গাজী আক্তারুল। এরপর কলারোয়া সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময় সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। ১৯৯৫ সালে কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, ২০০১ সালে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও ২০০৬ সালে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। পদাধিকার বলে উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি থাকাকালে ২০১১ সালে কলারোয়া পৌরসভার প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়েও জয়ী হন তিনি।

নির্বাচনী প্রচারণা সম্পর্কে বাংলানিউজকে বলেন, আমি ৩ ডিসেম্বর কারাগার থেকে মুক্ত হই। আমার নামে মামলা থাকায় সেই অর্থে নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে পারিনি। গ্রেফতার আতঙ্কে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও করিনি আমরা। তারপরও আমি একা একা নির্বাচনের মাঠে ঘুরেছি। তবে, আগের টার্মের সুনামই আমার বিজয় এনে দিয়েছে। আমাকে নিয়ে মানুষের মধ্যে কোন দ্বিধা ছিল না।  

এই প্রথম দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্তমান সময়ের জন্য খুব কঠিন। কেননা দলের কোনো কর্মী ভয়ে মাঠে নামতে পারেনি। আবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুবিধাও আছে। দলীয় প্রতীকের কারণেই অনেকে জয়ী হয়েছে। যদিও ২০১১ সালের নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও আমি অনেক ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলাম।

ব্যক্তিগত জীবনে ব্যবসায়ী এই নেতা বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নির্বাচনেও অংশ নেবো। সমস্যা হচ্ছে আমাদের বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমার নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। যা বানোয়াট।

তবে, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের সদিচ্ছার কথা উল্লেখ স্বীকার করে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত যে শঙ্কা ছিল, নির্বাচনের দিন সেই শঙ্কা কেটে যায়। সবাই সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরেছে। সরকার চেয়েছে বলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।