ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সাক্ষাৎকার

মেয়রের ইন্টারভিউ

পৌরবাসীর সেবক হতে চান সৈয়দপুরের আমজাদ

মো. আমিরুজ্জামান, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৬
পৌরবাসীর সেবক হতে চান সৈয়দপুরের আমজাদ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সৈয়দপুর (নীলফামারী): ‘পৌরসভার উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য জনগণের সেবক হতে চাই।

উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নের জন্য সরকারি বা বিরোধী দল প্রয়োজন হয় না।

যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে যেকোনো সমস্যার সমাধানসহ ভালো কাজ করা সম্ভব। ’

বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতে এ কথা বলেন, নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার।

নিজের বিগত মেয়াদে উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,  ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত করেছি। বর্তমানে নির্মিত হচ্ছে পৌরভবন।

পৌরসভা এলাকায় শিক্ষার উন্নয়ন তুলে ধরে তিনি বলেন, নোংরা শহর থেকে শিক্ষার শহরে পরিচিতি লাভ আর পৌরবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার নগরী গড়তে নির্মাণ করেছি সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, গোলাহাট বালিকা বিদ্যালয়, মকবুল হোসেন বিএম কলেজ, সৈয়দপুর আসমতিয়া মাদ্রাসা। এছাড়া সৈয়দপুর মহিলা কলেজকে ডিগ্রি কলেজ এবং গোলাহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও সানফ্লাওয়ার স্কুলকে কলেজে উন্নীত করা হয়েছে।
 
শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে মেয়র বলেন, পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া-মহল্লা দিনে দুইবার পরিস্কার করা হচ্ছে। লোকজনের চলাচলের সুবিধায় সড়কবাতি রয়েছে। সীমিত বরাদ্দে কাঙ্ক্ষিত  উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জনগণের করের টাকায় যেটুকু সম্ভব উন্নয়নকাজ করা হচ্ছে।
 
পৌরসভা নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, বাস টার্মিনালের মেরামত ও সংস্কার, পৌরসভার নতুন ভবন নির্মাণ, আয় বাড়ানোর জন্য সাপ্তাহিক হাট, পৌরসভার নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স চালু, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, নাইট কোচের জন্য নির্ধারিত স্ট্যান্ড তৈরি, পৌরবাসীকে অনলাইনের আওতায় আনা, পৌর পরিষদের মাসিক সভা টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত ও জবাবদিহিমূলক পৌরসভা গড়ে তোলা হবে।

মাদক সম্পর্কে তিনি বলেন, শহরে মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবীদের দৌরাত্ম বেড়ে গেছে। তবে এখানে নৈরাজ্যের কোনো স্থান নেই। এজন্য দলমত নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন তিনি।

মামলা ও হয়রানি বিষয়ে আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, বাকিটা জীবন আমি মানুষের সেবা করে কাটাতে চাই। মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে আমাকে বা আমার কাউন্সিলরদের হয়রানি করা হলে আমরাও পাল্টা মামলা করবো। প্রয়োজনে পৌরবাসীর সেবা কার্যক্রম বন্ধসহ বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করে জানাতে বাধ্য হব।

আমজাদ হোসেন সরকার ১৯৬৯ সালে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন।   এরপর ছাত্রদল, ছাত্রমৈত্রী, যুবমৈত্রী, ওয়ার্কার্স পার্টির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। পরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নীলফামারী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।

সর্বশেষ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চতুর্থবারের মতো মেয়র পদে নির্বাচিত হন তিনি। তিনি পান ২৯ হাজার ৯১২ ভোট।
তার নিকটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন পান ২২ হাজার ৬৭ ভোট।

চতুর্থ মেয়াদে আমজাদ হোসেন সরকার মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।