দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরার পৃষ্টপোষকতায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে সকাল থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা। প্রথমবারের মতো এমন আয়োজনকে সামনে রেখে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে ময়মনসিংহ নগরীতে।
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় শুরু হয় রেজিস্ট্রেশন। রেজস্ট্রেশনের জন্য সকাল থেকে অনুষ্ঠান স্থলে ভিড় করেন প্রতিযোগী এবং তাদের শিক্ষকরা। ময়মনসিংহ নগরীর ছাড়াও বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রায় ৩০০ প্রতিযোগী এতে অংশ নিচ্ছেন। সাতটি বুথে ১৪ জন বিচারক প্রাথমিকভাবে তাদের বাছাই করছেন। এদের মধ্য থেকে ৩০ জনকে বাছাই করা হবে। এরপর বাছাই করা হবে ১০ জন। এরপর এ ১০ জনের মধ্য থেকে তিনজন ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে অংশ নেবেন।
প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক হাফেজ মাওলানা কারি আবু সালেহ মো. মুসা বলেন, ঢাকা থেকে অতিথিরা এসেছেন। ময়মনসিংহের বিশিষ্ট আলেম ওলামারাও প্রতিযোগিতায় থাকছেন।
প্রতিযোগিতায় আসা সদর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকার দাপুনিয়া জামিয়া তালেব আলী মাদরাসার হাফেজ রুহুল আমীন বলেন, প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাপনা ভালো। এখোনে ভালো লাগছে। তিনি বলেন, তার প্রতিষ্ঠান থেকে তিনজন অংশ নিচ্ছেন।
বখশীগঞ্জ তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা থেকে এসেছে আটজন। প্রতিযোগীরা জানায়, তাদের এখানে এসে বেশ ভালো লেগেছে। তারা ভালো করার জন্যই এসেছে। আশা করছে তারা বিজয়ী হবে।
হালুয়াঘাট উপজেলার নুরুল ক্বলম ইসলামিয়া মাদরাসা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, তার প্রতিষ্ঠান থেকে চারজন এসেছে। ছেলেরা বিজয়ী হবে বলে তাদের বিশ্বাস। প্রতিযোগিতায় ঢাকা থেকে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ বেতারের কারি এমদাদুল ইসলাম ও কারি লিয়াকত হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
এসআই