পবিত্র হজ পালন শেষে অশ্রুসিক্ত নয়নে দেশে ফিরলেও ভূমি মক্কা-মদিনায় পড়ে থাকছে তাদের মন। হজ পালনে তাদের অর্থ ব্যয়,পরিশ্রম, দীর্ঘ সফর ও মক্কা-মদিনার প্রতি সীমাহীন ভালোবাসার কারণে আল্লাহ তাদের খালি হাতে ফেরাবেন না।
যে চোখ দিয়ে আল্লাহ কাবা দর্শনের তাওফিক দিয়েছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)- এর রওজা দেখিয়েছেন সে চোখ দিয়ে গুনাহ করব না।
আল্লাহর রহমতের প্রতি আশা রেখে বলা যায়, তিনি আমার হজ কবুল করেছেন এবং এর বদৌলতে আমাকে নবজাত শিশুর মতো নিষ্পাপ করেছেন। ইনশাআল্লাহ! আমি পাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করব। কোনো গুনাহ হয়ে গেলেও তাৎক্ষণিক তাওবা-ইস্তিগফার করে নেব।
বিদায় হজের বিভিন্ন স্থানে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে যেসব গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন তার সবকিছু মনে-প্রাণে মানব এবং তার ওপর অটল থাকব।
আমার হজটি কবুল হলো কি না— এটা তো কেবল আল্লাহই জানেন। তবে এর একটি বাহ্যিক নিদর্শন হলো, হজের পর দ্বিনদারি ও ঈমানি অবস্থার উন্নতি হওয়া। সুতরাং নিজের দ্বিনদারির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা এবং তা উন্নতির চেষ্টা করা।
মহান আল্লাহ যখন তাঁর ঘর দেখা ও জিয়ারত করার তাওফিক দিয়েছেন, তখন এই নেয়ামতের মর্যাদা রক্ষা করা। আল্লাহর অনুগ্রহে জান্নাতে প্রবেশ পর্যন্ত তার শোকর আদায় করতে থাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
এএটি