ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

খিলক্ষেতের মাদরাসায় বসুন্ধরার ইফতার, দারুণ খুশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
খিলক্ষেতের মাদরাসায় বসুন্ধরার ইফতার, দারুণ খুশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য মাসব্যাপী ইফতারের ব্যবস্থা করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ওই এলাকার ২১টি মাদরাসার প্রায় তিন হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিদিন ইফতারের সুযোগ পাচ্ছেন।

বুধবার (১৩ মার্চ) ইফতারের আগ মুহূর্তে খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকার বায়তুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসায় গিয়ে দেখা যায়, বসুন্ধরা গ্রুপের পাঠানো ইফতার সামগ্রী গুছিয়ে পরিবেশনে ব্যস্ত সময় পার করছে মাদরাসার ছোট-বড় শিক্ষার্থীরা। যেখানে ছিল ইফতারের অতি পরিচিত পদ ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, নানা রকমের ফলসহ বাহারি বিভিন্ন পদ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গোল হয়ে ইফতার সামনে নিয়ে বসে সময় হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ইফতারের পর শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের চোখে-মুখে তৃপ্তির উজ্জ্বলতা ফুটে ওঠে।

বায়তুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মুফতি মুনীরুজ্জামান খান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের মাদরাসায় প্রায় ১৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী রয়েছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে দুই বছর যাবত রোজায় আমাদের প্রতিদিন ইফতারি পাঠানো হয়। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের সবার জন্য খুব ভালোভাবেই হয়ে যায়।  

তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে এত সুন্দর একটি উদ্যোগ ও সওয়াবের কাজের জন্য মাদরাসার পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই মাদরাসায় অনেক এতিম ও অসহায় ছাত্র আছে। তাদের এই সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব বসুন্ধরা গ্রুপ পাবে। হাদিসে আছে, কোনো রোজাদারকে কেউ ইফতারি করালে তার পূর্ণ সওয়াব সে পাবে। কিন্তু এতে রোজাদারের কোনো সওয়াব কাটা হবে না। এই মহান সুযোগ বসুন্ধরা গ্রুপ নিচ্ছে, আমরা আশা করব এই ধারাবাহিকতা বসুন্ধরা গ্রুপ বজায় রাখবে।  

বায়তুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসা থেকে দুই বছরের মধ্যে কোরআনে হাফেজ হয়েছে মোহাম্মদ উজাইর, আহমাদ বিন মুনির ও হাসান মাহমুদ। এদের মধ্যে দুইজন বসুন্ধরা গ্রুপ আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর’-এ অংশ নিয়েছিল।  

তাদেরই একজন মোহাম্মদ উজাইর বাংলানিউজকে বলে, ‘আমরা প্রতিদিন রমজান মাসে বসুন্ধরার ইফতারি খাচ্ছি। খাবার খুবই সুস্বাদু এবং পরিমাণেও পর্যাপ্ত। রমজান মাসে আমাদের অনেকের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়ে। বসুন্ধরা আমাদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করে আমাদের অনেক উপকার করেছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।