আশুরাকে ঘিরে অনেক ভিত্তিহীন কথা সমাজে প্রচলিত আছে। বিভিন্ন ধর্মীয় বইপুস্তকেও এসবের বর্ণনা দেখা যায়।
সোলায়মান (আ.)-কে রাজত্ব প্রদান করেছেন। আইউব (আ.)-এর মসিবত দূর করেছেন। তাওরাত নাজিল করেছেন। ইব্রাহিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেছেন। নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দিয়েছেন। ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ইউসুফ (আ.) জেলখানা থেকে বের হয়েছেন।
ইয়াকুব (আ.) দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। মুহাম্মাদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেছেন। কেয়ামত সংঘটিত হবে ইত্যাদি। এসবের কোনোটিই বিশুদ্ধ বর্ণনা থেকে যথাযথভাবে প্রমাণিত নয়। বিশুদ্ধ বর্ণনায় কেবল মুসা (আ.)-কে ফেরাউনের কবল থেকে মুক্ত করার কথাটি পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার ময়দানে নবীজির (সা.) দৌহিত্র হজরত হোসাইন ও তার পরিবারের সঙ্গে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে আশুরার দিনটির ফজিলতপূর্ণ হওয়ার সম্পর্ক নেই। অবশ্য এ ঘটনার কারণে দিনটি মুসলমানদের কাছে আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ও স্মরণীয় হয়ে উঠেছে। হজরত হোসাইনের আত্মত্যাগ ও আপসহীন মানস বিশ্বাসীর অনুপ্রেরণার বাতিঘর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
জেএইচ