মানুষের প্রয়োজনের যেমন শেষ নেই, তেমনি আশারও কোনো পরিমাপ নেই। আশা-নিরাশা, সুখ-দুঃখ ও দুশ্চিন্তা-হতাশা নিয়েই মানব জীবন।
মানুষের বিশেষ কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক-মানসিকভাবে কোনো দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়। এ নামাজ আদায়ের আলাদা কোনো নিয়ম নেই। স্বাভাবিক নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। নামাজ শেষে আল্লাহতায়ালার হামদ ও ছানা (প্রশংসা) এবং নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ শরিফ পাঠ করে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে।
দোয়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে হাদিস শরিফে নিন্মোক্ত দোয়া পাঠের বর্ণনা আছে। দোয়াটি হলো—
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম, সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আছআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিক; ওয়া আজা-ইমা মাগফিরাতিক, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদাঅলি- জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিজান- ইল্লা কাজাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমীন। -তিরমিজি, ইবনে মাজা ও নাসায়ি
যে সময় এ নামাজ পড়া যাবে না
নামাজের জন্য নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ছাড়া যেকোনো সময়েই সালাতুল হাজত পড়া যায়। এছাড়া এ নামাজ পড়ায় কোনো বাধা নেই।
আল্লাহতাআলা মুসলিম উম্মাহকে সালাতুল হাজতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৪
এএটি