কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান পুরুষ ও নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব।
তবে আজকের মুসলিম সমাজে যে কোরবানির প্রচলন রয়েছে তা মূলত জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম (আ.) সালামের দেখানো পথ থেকেই।
ইসলাম ধর্মের আলোকে ছয় ধরনের গবাদিপশু দিয়ে কোরবানি করা যায়। সেগুলো হলো- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। তবে খাওয়া হালাল এমন যে কোনো পশু কোরবানি করা যায় না, যেমন হরিণ।
অনেকের মতে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হালাল হলেও ঘোড়া কোরবানি করা যায় না। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাত জন ওই পশু কেনায় সমান শরিক হবে এবং সমানভাবে গোশতও ভাগ করে নেবে। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ক্ষেত্রে একজনই কোরবানি করতে পারবেন।
এখন মূল কথা হচ্ছে ঘোড়া কোরবানির বিষয়ে। আগে আসে এ পশু মুসলমানদের জন্য হারাম কিনা।
ঘোড়ার মাংস খাওয়ার বিধান কী?
ঘোড়ার মাংস হালাল এবং তা খাওয়া সাধারণভাবে জায়েজ। কিন্তু ঘোড়া যেহেতু এক সময় বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যুদ্ধে ব্যবহৃত হতো, তাই ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হলে বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দিতে পারে এই আশঙ্কায় ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ঘোড়ার গোশত খাওয়াকে মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন।
কোরবানির পশু কেমন হবে এ সম্পর্কে হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চেষ্টা করবে কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট বয়সের পশু নির্বাচন করতে। যদি না পাও তাহলে ছয় মাসের দুম্বা কোরবানি করতে পার। (মুসলিম। )
ফকিহরা বলেছেন, উটের বয়স পাঁচ বছর, গরু বা মহিষ দুই বছর, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এক বছরের হওয়া শর্ত। বয়স কম; কিন্তু দেখতে হৃষ্টপুষ্ট এমন পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ হওয়ার পক্ষে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।