জিলহজ মাসের নবম দিন আরাফার দিন। ওইদিন রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
এতে রাসুল (সা.) রাগ করেন। তখন উমর (রা.) বলেন, আমরা আল্লাহর ওপর রব হিসেবে, ইসলামের ব্যাপারে দ্বীন হিসেবে ও মুহাম্মদ (সা.)- এর ওপর রাসুল হিসেবে এবং আমাদের বাইয়াতের ব্যাপারে আমরা সন্তুষ্ট। অতঃপর পুরো বছরের রোজার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন, সে রোজা রাখেনি ও ইফতারও করেনি। অতঃপর একাধারে দুই দিন রোজা রাখা ও একদিন না রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এভাবে রোজা রাখার সামর্থ্য কার আছে?’
অতঃপর একদিন রোজা রাখা ও দুই দিন রোজা না রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যেন আমাদের এমন রোজা রাখার সামর্থ্য দেন। ’
অতঃপর একদিন রোজা রাখা ও একদিন না রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তা আমার ভাই দাউদ (আ.)- এর রোজা। ’
অতঃপর সোমবারের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এদিন আমি জন্ম নিয়েছি এবং এদিন আমি নুবুওয়াত লাভ করেছি বা আমার ওপর (কোরআন) নাজিল হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি মাসে তিনদিন এবং পুরো রমজান মাস রাখা পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য।
’অতঃপর আরাফার দিনের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এতে আগের বছর ও পরের বছরের গুনাহ মাফ করা হয়। ’ অতঃপর আশুরার রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আগের বছরের গুনাহ মাফ করা হবে। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬২)
আরআইএস