ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

পটুয়াখালীতে ৩ দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪
পটুয়াখালীতে ৩ দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে প্রথমবারের মত বিশ্ব ইজতেমার অংশ হিসেবে জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে তিনদিনব্যাপী এই ইজতেমার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।



ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কের পটুয়াখালী সেতুর উত্তরপাশে পরিত্যক্ত বিমানবন্দরের বিশাল ময়দানে এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৫০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এই ইজতেমায় হাজির হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ইজতেমার জিম্মাদার মাওলানা মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, প্রতি বছর ঢাকার টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করে আসছেন। এ সময় লঞ্চ ও বাসে অস্বাভাবিক ভীড় লেগে থাকে। ঘটে অনেক দুর্ঘটনা। তাছাড়া ঢাকায় বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে এ অঞ্চলের মানুষদের আর্থিকভাবে অনেক খরচ হতো। এসব কিছু বিবেচনা করে এবার ঢাকার বাইরে পটুয়াখালীতে এই প্রথমবারের মত জেলা ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠিসহ মোট ৮টি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এখানে হাজির হতে পারবেন। বাড়ির পাশে জেলা ইজতেমার আয়োজনে এলাকাবাসীসহ এখানে আসা মুসল্লিরা দারুন খুশি।

ইজতেমায় আসা মুসল্লি পিরোজপুরের হাফেজ আবু তালেব বাংলানিউজকে জানান, আল্লাহকে খুশি করার জন্য তিনি কয়েকদিন আগেই এখানে এসে নিজ উদ্যোগে কাজ করছেন।

জিম্মাদার মো. ইলিয়াছ বাচ্চু বাংলানিউজকে জানান, টাবু টানানো, গোসল খানা, টয়লেট, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাসহ যাবতীয় সব কাজ প্রায় শেষের দিকে।  

বরগুনা থেকে আসা মেডিকেলের ছাত্র রাব্বী বাংলানিউজকে জানান, খুব ভাল লাগছে এখানে এসে। নিজেই সেরে নিচ্ছেন রান্নাবান্নার কাজসহ অন্যান্য কাজকর্ম। আল্লাহর নির্দেশে এখানে এসে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন তিনি।

ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কের পটুয়াখালী সেতুর উত্তরপাশে পরিত্যক্ত বিমানবন্দরের বিশাল ময়দানের দুই পাশে রয়েছে বড় দু’টি লেক। যেখানে মুসল্লিরা গোসল, ওজুসহ পানি ব্যবহার করতে পারবেন বলে বাংলানিউজকে জানান আরেক জিম্মাদার মাওলানা ইউসুফ।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম আজিমুল হক বাংলানিউজকে জানান, প্রথমবারের মত জেলা ইজতেমা নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে এখানে মানুষের জানমাল রক্ষাসহ নিরাপত্তা দেওয়ার  জন্য।

এছাড়াও এখানে মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি গাড়ি, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহসহ যাবতীয় যা যা করার তার সবই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।