ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

তাবলিগ এক ভ্রাম্যমাণ শিক্ষালয়

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৫
তাবলিগ এক ভ্রাম্যমাণ শিক্ষালয় ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: হজরত মুহাম্মদ (স.) এর মুখ নিঃসৃত শাশ্বত বাণী, ‘তোমার কাছে যদি কোনো বাণী থাকে, তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও। ’ এ দাওয়াতি আহ্বানকে কেন্দ্র করেই পর্যায়ক্রমে তাবলিগের বিশ্বব্যাপী প্রচার ও প্রসার ঘটে।

মোদ্দাকথা, যাদের ঘর-সংসার ছেড়ে মাদরাসায় ভর্তি হয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে দ্বীন শিখার সময়-সুযোগ হয় না, যাদের জীবন শুধু ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে পাল্টে দেওয়াও সম্ভব নয়- এমন লোকদেরকে দ্বীনের আলোয় আলোকিত করা মুসলমানদের দায়িত্ব। আর এ দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে দ্বীন শিখতে, ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহীদের ছোট ছোট জামাতে ভাগ করে দিয়ে বিভিন্ন এলাকার দ্বীন শিক্ষার কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে সময় কাটানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এর ফলে ধর্মীয় পরিবেশে থেকে ইসলামের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জানার আগ্রহ সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে হাল সময়ের তাবলিগ জামাতের সূচনা ঘটে। হজরত ইলিয়াস (রহ.) চেষ্টা বলেন, জামাতবদ্ধ লোকদের বেশি বেশি ধর্মীয় আলোচনা শোনার সুযোগ করে দিতে হবে। যে সব মজলিসে উলামা-মাশায়েখদের ওয়াজ-নসিহতের পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের নিয়মনীতি বলে দেওয়া হতো। যেন ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ এই লোকেরা দ্বীনদার পরহেজগারদের জীবনযাপন, কথাবার্তা, আচার-আচরণ, চালচলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার মধ্য দিয়ে ইসলামি বিধান মোতাবেক জীবন-যাপনে উদ্ধুদ্ধ হয়।

এভাবে ধর্মীয় মৌলিক বিশ্বাসে শতভাগ আস্থা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি তাবলিগের মেহনতের শরিকদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ইবাদতের অনুশীলন এবং কোরআনে কারিমের প্রয়োজনীয় কিছু সূরা-কেরাত সহিহ-শুদ্ধভাবে শিক্ষা, প্রয়োজনীয় দোয়া-দরুদ, জরুরি মাসয়ালা-মাসায়েল সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হয়। যার কারণে অনেকেই তাবলিগ জামাতকে ভ্রাম্যমাণ মাদরাসা বলে অভিহিত করে থাকেন। শুরুতে তাবলিগি কার্যক্রম ব্যাপক সমর্থন পায়নি, কিন্তু ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। এভাবে ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু হওয়া তাবলিগের কাজ এখন চলছে বিশ্বজুড়ে।

তাবলিগের মাধ্যমে অনেক মানুষ ইসলামের পতাকাতলে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। দ্বীন সম্পর্কে উদাসীনরা ধর্মকর্ম পালনে উৎসাহী হচ্ছেন। নিজে পরিশুদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি নিজ নিজ পরিবার ও সমাজে তাবলিগের বাণী পৌঁছে দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।