বলতে দ্বিধা নেই, বর্তমানে যৌতুক ছাড়া বিয়ের উদাহরণ খুব কম। অথচ যৌতুক নেওয়া ধর্মীয়-সামাজিক সব দৃষ্টিকোণ থেকেই নিষেধ।
নিয়ম অনুযায়ী ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার অর্থাৎ আজ আসরের নামাজের পর যৌতুকবিহীন সুন্নতি বিয়ে সম্পন্ন হবে। ইজতেমার মাঠে বিয়ের জন্য আগে থেকেই অভিভাবকরা পাত্র-পাত্রীদের নাম তালিকাভুক্ত করান। কনের সম্মতিতে বর ও উভয়পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বয়ান মঞ্চ থেকে মোনাজাতের মাধ্যমে নবদম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ নসিহত ও দোয়া করা হয়। বিয়ের সম্পন্ন হলে মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা-খেজুর বিতরণ করা হয়। ইজতেমার মাঠের বিয়েতে সাধারণত মোহরানা ধার্য করা হয়,‘মোহরে ফাতেমি’র পরিমাণ। সে হিসাবে মোহরানার পরিমাণ ধরা হয় ১৩০ তোলা রুপা। যার বর্তমান মূল্যমান প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো।
আজ দুপুর পর্যন্ত বিয়ের জন্য প্রায় শতাধিক নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বেও থাকবে বিয়ের আয়োজন। ইসলাম যে সহজ এবং অনাড়ম্বর বিয়ের শিক্ষা দেয়, তার একটা দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে মানুষকে ইসলামি পদ্ধতিতে বিয়েতে উৎসাহিত করাই এর উদ্দেশ্য।
গত বছরের (২০১৪ সালে) ইজতেমার দুই পর্বে ২৩৯ জনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালে দুই পর্বে ২৪৮, ২০১২ সালে ২৩৭, ২০১১ সালে ২৩৪, ২০১০ সালে ২৫৩ এবং ২০০৯ সালে ৯০ জন বর-কনে ইজতেমার গণবিয়েতে অংশ নেন। ২০০৮ সালে ১০৭ ও ২০০৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ১১৭ জনের। দিন দিন ইজতেমার মাঠে এই বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে। আজ বিকেলে অনুষ্ঠিতব্য যৌতুকহীন সুন্নতি বিয়ের দম্পতিদের জন্য রইল আমাদের দোয়ার পাশাপাশি আন্তরিক শুভ কামনা। প্রত্যাশা করি, তাদের জীবন হোক সুখের ও শান্তির।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫