সওয়াব অর্জনের চেয়ে গুনাহ থেকে বিরত থাকা শ্রেয়। এমনই অভিমত হলো, ইসলামি চিন্তাবিদদের।
আমরা জানি, মানুষের কর্মপ্রেরণার অন্যতম উৎসস্থল হচ্ছে- তার চিন্তা-চেতনা। এ কারণে সুস্থ মন ও চিন্তা-চেতনা মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। পক্ষান্তরে অসুস্থ মন ও চিন্তাধারা মানুষকে অন্যায় ও মন্দের দিকে উস্কে দেয়।
এ কারণে পবিত্র ধর্ম ইসলাম মন্দ ও অন্যায় বিষয়াদী নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতেও নিষেধ করেছে। কেননা এমন কুচিন্তার ফলে এক সময় হয়তো প্ররোচিত হতে হতে কেউ মন্দ কাজে লিপ্ত হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জনৈক আরব কবির একটি বাণী অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। বাণীতে তিনি বলেছেন, ‘গুনাহ কিংবা অবাধ্যতার বিষয়ে অধিক চিন্তা, মানুষকে সেদিকে উস্কে দিতে পারে। ’
হজরত ঈসা (আ.) একবার তার শিষ্য তথা ঘনিষ্ঠ সঙ্গিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি তোমাদের প্রতি আদেশ করছি যে, ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া তো অনেক দূরের কথা; বরং তোমরা ব্যভিচারের চিন্তা থেকেও নিজেদের মন ও আত্মাকে মুক্ত রাখ। কেননা যে ব্যক্তি মনে মনে ব্যভিচারের বিষয়ে চিন্তা করে, সে ওই ব্যক্তির ন্যায়; যে একটি পরিচ্ছন্ন কক্ষে আগুন জ্বালায় এবং সে আগুনের ধোয়া উক্ত কক্ষকে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন করে দেয়। যদিও উক্ত আগুনে সে ঘরের কোনো কিছু ধ্বংস নাও হয়ে থাকুক না কেন। ’
সুতরাং গুনাহ কিংবা মন্দ কাজ-কর্ম নিয়ে চিন্তা-ভাবনা মানুষের আত্মা ও অন্তরকে সে কর্মের দিকে প্ররোচিত করে। আর পরিণতিতে হয়তো সে উক্ত গুনাহের দিকে ধাবিত হতে পারে। কাজেই গুনাহ কিংবা অবাধ্যতায় লিপ্ত হওয়া তো অনেক দূরের কথা; বরং এ সব বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করাও উত্তম।
অন্যভাবে বলা যায় যে, সওয়াব অর্জন করতে না পারলেও গুনাহ থেকে বিরত থাকার লক্ষে সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘন্টা, মার্চ ১৯, ২০১৫