ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

শুরু হলো বরকতের মাস রজব

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
শুরু হলো বরকতের মাস রজব

আজ থেকে শুরু হলো ১৪৩৬ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাস। রজব মাস আরবি সনের সপ্তম মাস।

রজবের শাব্দিক অর্থ সম্মান করা। আরবরা এ মাসকে ‘শাহরুল্লাহ’ (আল্লাহর মাস) বলত এবং যথেষ্ট সম্মান করত। এ জন্য এ মাসের নাম রাখা হয়েছে ‘রজব’ বলে।

শেষনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এ মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে আরশে আজিমে গমন করেন। যা মেরাজ নামে সমধিক পরিচিত। মেরাজের রাতে মুসলমানদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়। মেরাজের ঘটনা মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যময়।

আল্লাহতায়লা বারো মাসের মধ্যে চারটি মাসকে ‘আশহুরে হুরুম’ তথা সম্মানিত ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কোরআনে কারিমে এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস বারোটি আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টির দিন থেকে। সুতরাং তোমরা এই মাসসমূহে নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। ’ -সূরা তাওবা : ৩৪

সম্মানিত চার মাসের একটি হলো রজব মাস। হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, বারো মাসে বছর। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি ধারাবাহিক- জিলকদ, জিলহজ, মহররম আর চতুর্থটি হলো রজব। ’ –সহিহ বোখারি ২/৬৭২

উলামায়ে কেরাম বলেছেন, আশহুরে হুরুমের বৈশিষ্ট্য হলো, এসব মাসে ইবাদতের প্রতি যত্নবান হলে বাকি মাসগুলোতে ইবাদতের তওফিক হয় বেশি বেশি। আশহুরে হুরুমে কষ্ট করে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে পারলে অন্যান্য মাসেও গুনাহ পরিহার করা সহজ হয়। -আহকামুল কোরআন, জাসসাস ৩/১১১

রজব মাস এলে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন ও সাহাবাদেরকে তা পাঠ করার জন্য বলতেন। দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান। ’ অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং মহিমান্বিত রমজান মাসে পৌঁছে দিন। হাদিসে আরও বলা হয়েছে যে, রজব মাস থেকেই নবীজি (সা.) রমজানের প্রস্তুতিস্বরূপ রোজা রাখা শুরু করতেন। বস্তুত রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দোয়ার মাধ্যমে রজব মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেছেন।

আমরা জানি, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের উল্লেখযোগ্য মোজেজা হলো, মেরাজের ঘটনা। রাসূলুল্লাহ (সা.) এ রাতে আল্লাহর দরবারে গিয়েছিলেন। আল্লাহতায়ালা তাঁকে নিজের সাক্ষাৎ দিয়ে ধন্য এবং নামাজের হুকুম দিয়ে এ উম্মতকে সম্মানিত করেছেন। শবে মেরাজের মূল উপহার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। যা মুসলমানদের আদায় করা ফরজ। রজব মাসে প্রারম্ভে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, যারা নামাজে অনিয়মিত তারা নামাজে নিয়মিত হবেন।

মনে রাখবেন, বিশেষ মর্যাদার এ মাসে যেকোনো ধরনের গুনাহ থেকে বেশি সতর্কতা ও দূরত্ব বজায় রাখাই কাম্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘন্টা. এপ্রিল ২০, ২০১৫
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।