মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বেশ কয়েক বছর ধরে রোজাদার মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে আসছেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়নে মুসলিম সমাজের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রমজান মাসে হোয়াইট হাউজে ইফতারের আয়োজন করেছিলেন।
তবে উত্তরের প্রতিবেশী কানাডার শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এবারের আগে কখনও মুসলিম সমাজের জন্য কোনো ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা নেই। এবারই প্রথম এ অায়োজন করা হয় গত সোমবার।
এদিন কানাডার কট্টর ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার এক ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। যেখানে মুসলিম সমাজের ৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তিত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
কানাডার রাজধানী অটোয়ায় ২৪নং সাসেক্স রোডে হারপারের সরকারি বাসভবনে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়।
ইফতার পার্টিতে আগতদের উদ্দেশে হারপার বলেন, ‘এই ভবন সকল কানাডাবাসীর ঠিকানা। আমি আশা করবো, সকল কানাডাবাসী বিশেষ করে মুসলিম বন্ধু ও প্রতিবেশীরা আজ রাতে এই সৌহার্দ্য উপভোগ করবেন। ’
মুসলিম বিরোধী বলে পরিচিত স্টিফেন হারপারের এ ধরনের ইফতার আয়োজনে সমাজের নেতৃবৃন্দ যার পর নাই বিস্মিত। তারা বলছেন, এটা তার নীতির পরিপন্থী, বিশেষ করে সম্প্রতি রক্ষণশীল বিলের পর- যাতে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানগুলোতে হিজাব নিষিদ্ধের আইন করা হয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডা মুসলিমস-এর নির্বাহী পরিচালক ইহসান গার্দি স্থানীয় আইপলিটিক্স গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এ সিদ্ধান্ত অনেক কানাডীয় মুসলিমকে বিস্মিত করেছে যারা মুসলিম হবার কারণে সরকারি সিদ্ধান্তে সমাজের মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। ’
তিনি বলেন, আমরা আশা করবো, এটা ভোট লাভের আশায় করা হয়নি, বরং সরকারে স্বর ও মনোভাব পরিবর্তনের বহিঃপ্রকাশ। অন্য মুসলিমরাও গার্দির মনোভাবের সাথে একমত পোষণ করেছেন।
২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী কানাডায় মুসলিম জনসংখ্যা ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪৫ জন। এটা কানাডার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩ দশমিক ২ শতাংশ। জরিপ মতে, দেশটিতে ইসলাম হচ্ছে খ্রিস্টধর্মের পর সর্ববৃহৎ এবং তা সর্বাধিক দ্রুত বর্দ্ধনশীল ধর্মও বটে।
-আল আরাবিয়্যাহ অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘন্টা, জুলাই ০১, ২০১৫
এমএ/