কিছু কিছু ভুল মানুষের মাঝে এমনভাবে প্রচার পায় মনে হয় ভুলটাই যেম শুদ্ধ। তেমনি একটি ভুল কথার প্রচলন হলো, রমজান মাসে যতো ইচ্ছা খাওয়া যাবে, এর কোনো হিসাব হবে না; রোজাদারের খাবারের কোনো হিসাব হবে না।
এমন ভুলের তালে সংযমের মাস পবিত্র রমজানের সেহরি, ইফতার ও রাতের খাবারে অনেক বেশি ও বাহারি খাবারের অায়োজনে অনেককে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। আসলে এটি একটি ভুল কথা ও প্রচলন। খাবারের হিসাব বলতে সাধারণত খাবারের অপচয় বোঝায়। আর পবিত্র কোরআন-হাদিসে এমন কোনো কথা নেই যে, রোজাদার যদি খাবারের অপচয় করে তাহলে তার কোনো হিসাব হবে না। যে ব্যক্তিই খাবার বা যে কোনো বস্তু অপচয় করুক আল্লাহর দরবারে তাকে এর হিসাব দিতে হবে। সুতরাং রোজাদার হোক বা যেই হোক খাবার বা যেকোনো বস্তুর অপচয় থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।
আর পানাহারের ক্ষেত্রে হারাম থেকে বেঁচে থাকা ফরজ- তা তো সব সময় এবং সর্বাবস্থারই বিধান। হিসাবের প্রশ্ন আসে হালালের ক্ষেত্রে; নিয়ামতের যথাযথ ব্যবহার হল কি-না এবং তার শোকর আদায় করা হল কি-না। হারামের উপর তো সরাসরি শাস্তি হয়। তাই প্রচলিত এ বাক্য শুনে এরূপ মনে করা যে, হারাম খেলেও কোনো হিসাব নেই তা আরো ভয়াবহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘন্টা জুলাই ১১, ২০১৫
এমএ