অগণিত নবী-রাসূলের স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র মসজিদ বায়তুল মোকাদ্দাস। অপর নাম মসজিদুল আকসা।
দখলদার ইসরাইলের কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মসজিদুল আকসা তথা বায়তুল মোকাদ্দাসে ফিলিস্তিনের সহস্রাধিক মুসলমান ইতেকাফে বসেছেন। প্রতি বছরের মতো চলতি বছরেও ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহর থেকে সহস্রাধিক মুসলমান ইতেকাফের জন্য মসজিদুল আকসায় উপস্থিত হয়েছেন।
দখলদার ইসরাইলের সামরিক বাহিনী শত চেষ্টা করেও ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ইতেকাফে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। মুসলমানেরা নিজেদের জীবনকে উপেক্ষা করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মসজিদুল আকসায় এসে ইতেকাফে বসেছেন।
বলাবাহুল্য, দখলদার ইহুদিরা গত বছরেও এ সময় জেরুজালেমে প্রবেশের সকল পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছিল এবং ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের অধিবাসীদের জেরুজালেমে প্রবেশ বাধা সৃষ্টি করেছিল এবং মসজিদুল আকসায় প্রবেশের জন্য বয়সের সীমাবদ্ধতা জারি করেছিল।
ইসলাম মতে পুরুষের জন্য ইতেকাফের সর্বোত্তম স্থান হলো মক্কা শরীফের মসজিদ, অতঃপর বায়তুল মোকাদ্দাসের মসজিদ, তারপর ওই মসজিদ যেখানে জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মসজিদুল আকসা বর্তমান জেরুজালেমের ওল্ড সিটি এলাকায় অবস্থিত। আকসার পাশেই অনুপম স্থাপত্যশৈলীর আরেকটি দৃষ্টিনন্দন ইমারত আছে, তার নাম কুব্বাতুস সাখরা। মেরাজের সময় রাসূল (সা.) যে পাথরে পা রেখে বোরাকে চড়েছিলেন, তাকে কেন্দ্র করে খলিফা আবদুল মালিক বিন মারওয়ান প্রথম এ ইমারতটি নির্মাণ করেন। কুব্বাতুস সাখরা গোলাকার কাঠামোর এবং তার গম্বুজ সোনালি পাত মোড়ানো হওয়ায় সোনালি দেখা যায়। অপরদিকে বায়তুল মোকাদ্দাসের গম্বুজের রঙ সবুজ। অনেকেই কুব্বাতুস সাখরাকে ভুল করে বায়তুল মোকাদ্দাস মনে করে বসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘন্টা, জুলাই ১৪, ২০১৫
এমএ/