পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আয়োজিত সৌদি আরব, দুবাই ও জর্ডানে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি তিন কিশোর হাফেজ দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। সাফল্য অর্জনকারী হাফেজরা হলেন- হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়া, হাফেজ সাঈদ আহমদ ও হাফেজ আবদুল্লাহ আল মাহফুজ।
হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়া
হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়া ১৯তম দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হলি কোরআন অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে, সেই সঙ্গে সে লাভ করেছে সেরা কন্ঠের প্রথম পুরস্কার। ৭৬টি দেশের প্রতিযোগিদের পিছনে ফেলে জাকারিয়া এ স্থান অর্জন করে। ১২ বছর বয়সী জাকারিয়া পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন এক লাখ পঞ্চাশ হাজার দিরহাম এবং সেরা কন্ঠের জন্য পাঁচ হাজার দিরহাম।
দুবাইয়ের কালচারাল এন্ড সাইন্টিফিক এসোসিয়েশন মিলনায়তনে চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন শেখ আহমেদ বিন মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুম, মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, মন্ত্রী, সিনিয়র কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
হাফেজ জাকারিয়ার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে। তার পিতা হাফেজ মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ মানিকগঞ্জ হরিরামপুরের একটি মসজিদের ইমাম। হাফেজ জাকারিয়া এর আগে মিশর, জর্ডান ও কাতারসহ বেশ কয়েকটি দেশে অনুষ্ঠিত কোরআআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল।
হাফেজ আবদুল্লাহ আল মাহফুজ
সৌদি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দাতব্য সংস্থা হায়্যাতুল আলামিয়ার ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ১০ বছর বয়সী হাফেজদের আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬০টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ৩য় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশি ক্ষুদে হাফেজ আবদুল্লাহ আল মাহফুজ। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটে। বিশ্বয়কর প্রতিভার এ হাফেজ এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করল।
হাফেজ সাঈদ আহমাদ
চলতি বছরের ১৪ জুলাই জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত ২৩তম আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় [২০ পারা গ্রুপে] তৃতীয় হয়েছেন হাফেজ সাঈদ আহমাদ। হাফেজ সাঈদ আহমদের বাড়ি উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ জেলায় বাচারি গ্রামে। তার পিতা আবদুর রাজজাক পেশায় একজন কৃষক। পুরস্কার হিসেবে সাঈদ পেয়েছেন ১৪০০ দিনার যার বাংলাদেশি মূল্য ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ওই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জর্ডানের রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘন্টা, জুলাই ২৬, ২০১৫
এমএ/